বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না মো. সাগর হোসেন নামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী।
Advertisement
তীব্র অভাব-অনটনের মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে মেডিকেল কলেজের মেধাতালিকায় স্থান পান সাগর। তবে মেধাতালিকায় স্থান পেলেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়েনি তার। কারণ ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার মতো টাকা-পয়সা নেই রিকশাচালক বাবা মো. সেলিম হোসেনের। মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা কীভাবে জোগাড় হবে তা জানা ছিল না হত দরিদ্র এই পরিবারের। ভর্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়ে সাগরের পরিবার। ধরে নিয়েছিলেন ছেলেকে ডাক্তার বানানো হবে না।
এ অবস্থায় লোক মারফতে বিষয়টি জানতে পেরে সাগরের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম। সাগরকে ডাক্তার বানানোর জন্য বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন তিনি।
বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে পরিবারটির আনন্দে থাকার কথা। সেখানে পরিবারটি ছিল দুশ্চিন্তায়। বিষয়টি জানতে পেরে সাগরের সঙ্গে কথা বলি। তাকে দেখা করতে বলি। বুধবার সকালে সাগর অফিসে আসলে ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা দেই। এছাড়া লেখাপড়ার খরচ নিয়ে তাকে দুশ্চিন্তা না করতে বলেছি। সাগরের যতদিন প্রয়োজন হবে লেখাপড়ার খরচের জন্যও তাকে সহায়তা করা হবে।
Advertisement
এদিকে, মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা পেয়ে সাগর আনন্দে আত্মহারা। ছেলে ডাক্তার হবে জেনে খুশি তার বাবা-মা। সেই সঙ্গে ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান তারা।
সাগর বলেন, ডিআইজি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। ভর্তি ও লেখাপড়ার খরচ নিয়ে যখন দুশ্চিন্তায় আমার পুরো পরিবার, তখন ডিআইজি স্যারের সহায়তায় আমার পরিবার চিন্তামুক্ত হয়েছে। স্যারের মতো সব মানুষ এগিয়ে এলে অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষর্থীর লেখাপড়া বন্ধ থাকবে না।
সাইফ আমীন/এএম/জেআইএম
Advertisement