খেলাধুলা

বল হাতে বিধ্বংসী তাসকিন-নাঈম

গিয়েছিলেন আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। কিন্তু স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরব আমিরাত থেকে লিগ শুরু হতে না হতেই ফিরে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে, তিনি আর শারজায় গেলেন না এপিএল খেলতে। নেমে পড়েছেন নিজের দেশে এনসিএলে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি রাউন্ডে নেমে গেলেন ঢাকা মেট্রোর হয়ে। শুধু তাই নয়, এনসিএলেই নিজের হারানো ফর্ম ফিরে ফেলেন যেন বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া এই পেসার।

Advertisement

একসময় জাতীয় দলে ছিলেন নিয়মিত। কিন্তু গত বছরের শেষ দিক থেকে হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে ফেলেন তাসকিন। দীর্ঘদিন নেই জাতীয় দলে। অন্তত এক বছর। এরই মধ্যে পড়েছিলেন ইনজুরিতে। সেই ইনজুরির ধকল কাটিয়ে উঠে ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ডে গিয়েছিলেন খেলতে। সেখানেও ইনজুরির কবলে পড়েন তিনি। তবুও নিজেকে ফিরে পাওয়ার দারুণ চেষ্টা করে আসছিলেন তিনি।

অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন তাসকিন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে বিধ্বংসী বোলিং করলেন তিনি। বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে একে একে তিনি সাজঘরে ফেরালেন চট্টগ্রামের ৫জন ব্যাটসম্যানকে। সাদিকুর রহমান, ইয়াসির আলি, তাসামুল হক, মাহিদুল ইসলাম আকন এবং শাখাওয়াত হোসেনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ডান হাতি এই পেসার। এর মধ্যে তাসামুল হক ছিলেন সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান। তিনি আউট হন ১১৬ রান করে।

তাসকিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন চট্টগ্রাম বিভাগের উদীয়মান স্পিনার নাঈম হাসানও। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রোর ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন তিনি এবং একাই নেন ৫ উইকেট। ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নাঈম, মোহাম্মদ আশরাফুল, মেহরাব জুনিয়র, সৈকত আলি এবং জাহিদ হোসেনকে।

Advertisement

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রো অলআউট হয় ২৮৭ রানে। এর মধ্যে আবার তাসকিনের অবদান ছিল ২৯ রান। জবাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই তাসকিনের তোপের মুখে পড়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাদিকুর রহমানকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। তাসকিনের সঙ্গে উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতায় মাতেন শহিদুল ইসলাম, আরাফাত সানি কিংবা মোহাম্মদ আশরাফুলরা। তাসামুল হক ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনংসটি না খেললে তো চট্টগ্রাম ফলোঅনেই পড়ে যেতো হয়তো। শেষ পর্যন্ত তাসকিন তোপে তারা অলআউট হয় ২৩৬ রানে। তাসকিনের ৫ উইকেটের সঙ্গে শহিদুল আর আরাফাত সানি নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন আশরাফুল।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে উদীয়মান অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ঘূর্ণি তোপের মুখে পড়ে ঢাকা মেট্রোর ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ১৯১ রান। নাঈম হাসান একাই নিলেন ৫ উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন শাখাওয়াত হোসেন। ঢাকা মেট্রোর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাদমান ইসলাম সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। ৪০ রান করেন সৈকত আলি। ৩১ রানে অপরাজিত রয়েছেন শামসুর রহমান। আশরাফুল আউট হন ২৩ রান করে। মেহরাব জুনিয়র করেন ২৬ রান।

আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement