বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো দল খেলতে নামার আগে তাদের ভাবনার বড় অংশ জুড়ে থাকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। এরপরই প্রতিপক্ষগগুলোকে ভাবতে হয় দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে। সেদিক থেকে আসন্ন সিরিজে জিম্বাবুয়ে নিজেদের খানিক সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারে, যে তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট- কোনো সিরিজেই থাকছেন না সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে থাকবেন না তামিম, টেস্টে থাকার সম্ভাবনাও খুবই কম।
Advertisement
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার আগেই এ কথা জেনে গেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর বুধবারই তারা নেমে পড়েছে নিয়মিত অনুশীলনে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা মনে করেন, সাকিব বা তামিম না থাকাটা খুব একটা সমস্যার কারণ হবে না বাংলাদেশের জন্য।
কেননা সাকিব-তামিমের পরিবর্তে যারা খেলবে তারাও বেশ যোগ্যতাসম্পন্নই। আজ (বুধবার) মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে মাসাকাদজা বলেন, ‘সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল, দুজনই বাংলাদেশের জন্য বড় খেলোয়াড়। তারা বাংলাদেশের হয়ে অনেকদিন ধরেই পারফর্ম করছে। তারা ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক খেলোয়াড় রয়েছে। আর কিছু বদলি খেলোয়াড়ও অপেক্ষায় আছে। আমার মনে হয় না, সাকিব-তামিম না থাকায় তারা খুব একটা শক্তি হারাবে।’
সাকিব-তামিম ছাড়া বাংলাদেশ দল শক্তিশালী হলেও জিম্বাবুইয়ানরা টাইগারদের হারানোর প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে এসেছে বলে জানান তাদের দলপতি। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে নিজেদের দলের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী এই ব্যাটসম্যান।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (আমাদের জেতার সামর্থ্য রয়েছে)। সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের প্লেয়ার আছে ভাল করার মত। আমাদের কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার উঠে এসেছে। একই সাথে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আছে। হ্যাঁ, আমি মনে করি এখানে ম্যাচ জেতার মত দল আমাদের আছে।’
প্রায়শই বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে মজা করে বলা হয়ে থাকে ‘ছোটদের অ্যাশেজ’। দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নিয়মিত হওয়া সিরিজের কারণেই এমনটা বলে থাকেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক মাসাকাদজা টের পান দুদলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝটা। বাংলাদেশ দল এখন অনেক এগিয়ে গেলেও মাসাকাদজা আশাবাদী সিরিজটি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে।
‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুবই ভালো দল। তারা গত কয়েক বছর ধরেই সেটার প্রমাণ রেখে আসছে। এখানে এসে খেলা সবসময়ই কঠিন। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট খেলেছি, বাকি দেশগুলোর তুলনায়। সেই দিক থেকে আমরা মানসিকভাবে ভাল অবস্থানে আছি। এই জন্যই আমি বিশ্বাস করি, এই সিরিজটি খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে। আমি এই সিরিজটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ বলবো। দুই দলের জন্যই সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। দুই দলই একে অপরের সাথে অনেক ক্রিকেট খেলেছে। আমরা আশা করছি একটা জমজমাট প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ সিরিজ হবে, প্রতিবার যেমন হয়ে থাকে।’
এছাড়াও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা নিয়মিতই খেলে থাকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। সে ব্যাপারটিও আসন্ন সিরিজে তাদেরকে সাহায্য করবে বলে মনে করেন মাসাকাদজা।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু ক্রিকেটার এখানে খেলেছে। এই জিনিসটা সবসময় সাহায্য করে। কারণ ছেলেরা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা রাখে। তারা জানে কিভাবে এখানে কাজ করতে হয়। আমার মনে হয় আমাদের দলের ৫-৬ জন ক্রিকেটার এখানে খেলেছে। আর অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলেছে। কন্ডিশনের জ্ঞান ও এখানে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্যই দলকে সাহায্য করবে।’
এসএএস/আইএইচএস/জেআইএম