ধর্ম

কাঁচের তৈরি এ কেমন মসজিদ!

‘প্যারাডাইজ হ্যাজ ম্যানি গেটস’ নামক আর্ট প্রকল্পের আওতায় প্রথম বারের মতো নির্মিত হলো ট্রান্সপারেন্ট বা স্বচ্ছ মসজিদ। এ মসজিদটি সৌদি আরাবিয়ায় অবস্থিত। এটা দেখতে অনেক চমৎকার!

Advertisement

‘প্যারাডাইজ হ্যাজ ম্যানি গেটস’ অর্থাৎ ‘জান্নাতে অনেক দরজা’ নামক প্রকল্পটি সৌদি বংশোদ্ভুত শিল্পী আজলান ঘরেম দ্বারা পরিচালিত। তার শৈল্পিক চিন্তায় তৈরি এ মসজিদটির পেছনে রয়েছে সুন্দর একটি ধারণা।

শিল্পী আজলান ঘারেম মসজিদটি নির্মাণ করেছেন স্টিল, প্লেক্সিগ্লাস, অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে বৈদ্যুতিক আলোর সংযোজন ঘটিয়েছেন।

অত্যাচারের বিরুদ্ধে শিল্পীর অভিনব প্রতিবাদ

Advertisement

এ মসজিদ নির্মাণে তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হয়েছে যারা একই মেটরিয়ালস স্টিল, প্লেক্সিগ্লাস, অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগে সীমান্ত বেড়া তৈরি করে অসহায় অভিবাসীদের আগমন ঠেকিয়েছে। মজলুম মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে কারাগার প্রকোষ্ঠে। আর তাহলো ইউরোপের সীমান্ত দেয়াল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জেল গুয়ান্তানামো বে।

তার এ চমৎকার ধারণায় প্রতিবাদস্বরূপ মসজিদ নির্মাণে সে মানুষের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা লাভ করেছে।

শিল্পী আজলান ঘারেম-এর নির্মিত এ মসজিদটি কানাডার ভ্যানকুজারের ভ্যানিয়ার পার্কে দুই বছরের জন্য নেয়া হয়েছে। যাতে মানুষ এ মসজিদটির সৌন্দর্য দেখতে পারে। দুই বছর পর এটি আবার সৌদি আরব নিয়ে আসা হবে। অথবা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে যাতে আরো বেশি মানুষ সুন্দর ধারণার এ মসজিদ দেখতে পারে।

শিল্পী আজলান ঘারেম তার এ অসামান্য আইডিয়ার আলোকে তৈরি মসজিদটির জন্য পেয়েছেন বিশ্বব্যাপী অনেক প্রশংসা।

Advertisement

এ মসজিদটি পরিদর্শনে আসা লোকদের বক্তব্য হলো এমন যে, আজলান ঘারেম উন্নত ধারণায় এ স্বচ্ছ মসজিদ নির্মাণ করে একটি সহজ পদ্ধতিতে শক্তিশালী অন্যায়ের প্রতিবাদী বার্তা দিয়েছেন। এ শিল্পটির গুরুত্ব ব্যক্তি বিশেষর চিন্তাভাবনার ওপর নির্ভর করবে।

কেননা তা দেখতে যেমন সুন্দর এবং স্বচ্ছ। আর প্রতিবাদের ভাষাও তা গুরুত্বের দাবি রাখে। সীমান্তে তারের বেড়া দিয়ে মানুষকে অনিশ্চিত মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়া যেমন নিরাপদ নয়, আবার তারের ভাঙ্কারে মানুষকে বন্দী রেখে অত্যাচার নির্যাতন চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

আর শিল্পী আজলান জান্নাতের নমুনায় স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লেক্সিগ্লাসে বৈদ্যুতিক আলোর আবহে মসজিদ তৈরি করে তাতে শান্তির ইবাদত নামাজ পড়ার মাধ্যমে নিরাপদ ও নিরাপত্তার বার্তাই পৌছে দিয়েছেন।

কেননা ইবাদত কিংবা উপাসনা সবসময় শান্তির সাথে সংযুক্ত থাকে। তাই শিল্পী আজলান ঘারেম প্রতিবাদ স্বরূপ মুসলমানদের নির্যাতনে কিংবা অসহায় মুসলমানদের ইউরোপে প্রবেশ ঠেকাতে একই উপাদান দিয়ে তৈরি করেছেন শান্তির স্থান মসজিদ।

সুতরাং শিল্পী আজলান ঘারেমের সুন্দর স্বচ্ছ ও নিরাপদ স্থান মসজিদ তৈরি আইডিয়ার সঙ্গে নিজে থাকুন এবং অন্যকেও রাখুন। নিঃসন্দেহে তা বিশ্বব্যাপী শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

এমএমএস/আরআইপি