জাতীয়

মুখোমুখি করা হবে আশা, তন্নি ও দুই জঙ্গিকে

ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে (নিলয় নীল) হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দু’জনকে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রিমান্ড চলাকালীন সময়ে নিলয়ের স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে আসামিদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শনিবার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-কমিশনার পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিমান্ড চলাকালীন যেকোনো দিন গ্রেফতার হওয়া আসামি সাদ আল নাহিয়ান ও মাসুদ রানার সঙ্গে নিলয়ের স্ত্রী আশা মনি ও শ্যালিকা তন্নিকে মুখোমুখি করা হবে। এরা দু’জন হত্যাকারীদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন। গ্রেফতার হওয়া আনসারুল্লাহর সদস্যদের মুখ চিনতেই তাদের ডিবি কার্যালয়ে সনাক্তের কাজ করানো হবে। এর আগে ৭ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীর গোড়ানের নিজ বাসায় ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর এর দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম নামে একটি সংগঠন। তারা নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার অঙ্গ সংগঠন দাবি করেছে।  তবে আনসারুল্লাহ বাংলাটিম হত্যাকাণ্ডটি সংঘঠিত করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুর থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠিয়ে তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। ডিবি সুত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দিনে আসামিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথাটি এখনো স্বীকার করেনি। তবে এটি নিশ্চিত করেছে যে তারা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, গত ১৫ দিনে নাহিয়ান ও রানার কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তারা কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের ফোন লিস্ট, ই-মেইল তদারকি করা হচ্ছে। জামিনে বের হয়ে তারা কার কার সঙ্গে দেখা করেছিল এগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আজ প্রথম দিনের মতো তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের সুবিধার্থে এর চেয়ে বেশি তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। এ ঘটনার ৮ দিন পার হয়ে গেলেও নাহিয়ান ও রানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে এঘটনায় নিলয়ের স্ত্রী, শ্যালিকা, বন্ধু, সহকর্মীসহ মোট ১২ জনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এআর/এসএইচএস/এমআরআই

Advertisement