চলে এলো স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে এখন ঢাকায় ২০১৯ বিশ্বকাপের ট্রফিটি। তবে এটা এখন শুধু একটু ছুঁয়ে দেখা আর আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের জন্য। ট্রফিটা আসলে নিজেদের কাছে আনতে হলে তো চাই বিশ্বকাপ জয়। বাংলাদেশের কি কখনও সেই স্বপ্নটা পূরণ হবে?
Advertisement
দেশের ক্রিকেট যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে স্বপ্ন দেখাটাকে বাড়াবাড়ি বলবেন না কেউ। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের নায়ক এবং বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু তো মনে করছেন, একদিন অবশ্যই এই স্বপ্নপূরণ হবে। আগামী বিশ্বকাপেই ভালো করার আত্মবিশ্বাস তার।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দুবাই থেকে ঢাকায় ট্রফি এসে পৌঁছানোর ঘন্টাখানেকের মধ্যে তোড়জোড় ও শোরগোল বিসিবিতে। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাড়তি পুলিশ ও র্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি।
শেরে বাংলায় বিসিবি ভবনের উত্তর দিকে একাডেমির প্রবেশ পথেই ছোট্ট অস্থায়ী মঞ্চ, যার শিরোনাম 'আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি ট্যুর।' সেখানেই বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে বিসিবি ভবন থেকে ট্রফি আসলো।
Advertisement
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধান নির্বাচক এবং ১৯৯৯ সালের প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে নিয়ে অস্থায়ী মঞ্চে আসলেন বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। নান্নুর হাত ধরেই উন্মোচিত হলো ট্রফিটি।
স্বপ্নের ট্রফি হাতে নিয়ে স্বপ্নের কথাই শোনালেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক। নান্নু বলেন, ‘এখন আমরা যে প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই সামনের বিশ্বকাপে ভালো ফল আশা করি। বিশ্বকাপ শব্দটাই অন্যরকম। এটা সব সময়ই উজ্জীবিত করে ইয়াং স্টারদের। আমার বিশ্বাস, আগামী বিশ্বকাপে আমরা ভালো করব।’
বড় টুর্নামেন্টে বারবার ফাইনালে গিয়েও ট্রফি ছোঁয়া হচ্ছে না। নেতিবাচকতা কি পেয়ে বসেছে বাংলাদেশকে? নান্নু অবশ্য এই আটকে যাওয়া থেকেও ইতিবাচকতা খুঁজছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটা খেলা। যে কোন দল দেখবেন ফাইনালের কাছাকাছি বা ফাইনালে গিয়ে হেরে যাচ্ছে। এই অনুপ্রেরণা নিয়েই কিন্তু সামনে কাপটা জেতে। যেহেতু আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ দল। এবং ফাইনাল খেলার অভ্যাস হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস যে সামনের বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব।’
এমএমআর/এমএস
Advertisement