আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন। নির্বাচনের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
Advertisement
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এ আসনের বর্তমান এমপি এ কে এম শামীম ওসমানের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। শামীম ওসমানও মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ায় প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। এছাড়াও তার দলের নেতারা তার পক্ষে নির্বাচনী সভা করছেন।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নিজেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় শ্রমিক নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ। তবে তিনি এখনো প্রচারণায় নামেননি। পলাশের সমর্থকরা আশা করছেন দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরীও বলছেন আবারও মনোনয়ন চাইবেন তিনি। যদিও তাকে একদিনও এলাকায় দেখা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে- দলের শীর্ষ নেতাদের কোনো প্রকার মূল্যায়ন না করে হাতে গোনা কয়েকজন লোক নিয়ে এমপি হিসেবে পাঁচ বছর পাড় করেছিলেন কবরী।
Advertisement
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়াামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য কামালা মৃধা। তিনি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। তবে এরপর তাকে তাকে মাঠে দেখা যায়নি।
এদিকে এ আসনে বিএনপিতে কোন্দল থাকায় দলটির একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। এ আসন থেকে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, পারভেজ আহমেদ,থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সাবেক এমপি মরহুম কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শাহিনা ইসলাম মুক্তি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পাটি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা। তিনি মনোনয়ন পেতে জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে একাধিকবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। জাতীয় পাটি এককভাবে নির্বাচন করলে খোকা মোল্লা মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভবনা বেশি। তাই তিনি এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন।
এ আসনে জমিয়তের প্রার্থী হিসাবে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীর নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা।
Advertisement
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ জানান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শামীম ওসমানের বিকল্প নাই। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করে রেখেছেন তিনি। তিনি এমপি হওয়ার পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে শামীম ওসমানই যোগ্য প্রার্থী।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস জানান, এ আসনে শাহ আলম গতবার নির্বাচন করে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হলেও কৌশলগত কারণে ওনাকে পরাজিত করা হয়েছে। এবারও শাহ আলম মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে এ আসন থেকে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমএস