সিলেট মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল আলীকে (২২) খুনের দায় স্বীকার করেছে মামলার অন্যতম আসামি প্রণোজিত দাস। শনিবার সিলেট মহানগর হাকিম-৩ আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রণোজিতকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে তিনি দোষ স্বীকার করে বক্তব্য দেয়ার কথা জানালে শনিবার তাকে আদালতে আনা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রণোজিত আদালতকে জানায় ঘটনার আগের দিন তুচ্ছ ঘটনায় জুনিয়র ছাত্রলীগ কর্মী হয়েও অপমান করায় পরদিন বুধবার তাকে ছুরিকাঘাত করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি পরিদর্শক মোশাররফ।প্রসঙ্গত, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার দুপুরে মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে খুন হন আব্দুল আলী। সে মদনমোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রনোজিত ও তার সহযোগিরা আলীকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলীকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিকালে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই দিন বিকালে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল থেকে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক ছাত্রলীগ ক্যাডার প্রনোজিতকে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন গ্রেফতার করা হয় ছাত্রলীগ ক্যাডার আঙ্গুর মিয়াকে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার আলীর পিতা আলকাস মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।মামলার আসামিরা হলেন, ছাত্রলীগ কর্মী প্রণজিত দাস, আঙ্গুর মিয়া, রাজিব, মাসুদ ও তাকবির। তারা সবাই মদনমোহন কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগের পারভেজ গ্রুপের কর্মী। এর মধ্যে ঘটনার পর প্রণজিতকে ও এর পরদিন আঙ্গুরকে আটক করে পুলিশ।ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি
Advertisement