বিশেষ প্রতিবেদন

২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মজুদ

>> বর্তমানে মজুদের পরিমাণ ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪০ টন>> গত বছর বাজার অস্থিতিশীল করেছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা>> কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ায় এবার বাজার স্থিতিশীল

Advertisement

বর্তমানে দেশের সরকারি গুদামে চাল ও গমের মোট মজুদ ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪০ টন। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। গত বছর এই সময়ে মোট মজুদ ছিল চার লাখ ৮৭ হাজার ২৬০ টন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গত ১৪ অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪০ টন। এর মধ্যে চাল ১২ লাখ ২৩ হাজার ১২০ টন এবং গম দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬২০ টন।

গত বছর একই সময়ে চালের মজুদ ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার ২৩০ টন এবং গম এক লাখ দুই হাজার ৩০ টন।

Advertisement

সরকারি মজুদ সংকটের সুযোগ নিয়ে গত বছর বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছিল অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা। সরকারের নানা উদ্যোগ ও মজুদ বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাস ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে সরকারি খাদ্য মজুদের মোট পরিমাণ ১৫ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

খাদ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, গত বছর মূলত অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো সংগ্রহের ব্যর্থতার কারণে সরকারি মজুদ তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এ কারণে এবার আমন সংগ্রহের সময় সতর্ক ছিল সরকার। চলতি বছর আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ হয়েছে।

গত ৮ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বোরো থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে আট লাখ টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ টন আতপ চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন ধান (দেড় লাখ টন ধানে এক লাখ টন চাল পাওয়া যাবে) সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

এবার ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়ে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৮ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ ৪৯ হাজার ৯৪২ টন আতপ চাল এবং ২৪ হাজার ৪৭১ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বমোট ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪২৬ টনের সমপরিমাণ বোরো চাল সংগৃহীত হয়েছে।

গত ৮ এপ্রিলের সভায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, দেশে ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৭ টন খাদ্যশস্যের মজুদ আছে।

ওই সময় তিনি আরও বলেন, এই মজুদ গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া এবার বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ টন।

এমইউএইচ/এমএমজেড/এমএআর/আরআইপি