পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরাটের অধিবাসী ৬০ বছরের বৃদ্ধা নাসিম আখতার। যিনি ৩২ বছরের নিরলস চেষ্টায় সুঁই-সুতোয় লিখেছেন পুরো কুরআনুল কারিম। পাঞ্জাব সংসদের স্পিকার চৌধুরী পারভেজ ইলাহি প্রেসিডেন্ট পদক ‘দ্য প্রেসিডেন্স প্রাইড অব পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য তার নাম প্রস্তাব করবেন।
Advertisement
পবিত্র কুরআনুল কারিমের এ কপিটি গত ২১ সেপ্টেম্বর মদিনার মসজিদে নববিস্থ কুরআন মিউজিয়ামে উপহার দিয়েছেন নাসিম আখতার।
পাঞ্জাব সংসদের স্পিকার চৌধুরী পারভেজ ইলাহি, তার স্ত্রী ও ছেলে রাশেখ ইলাহি কুরআনের লেখিকা নাসিম আখতারের বাড়ি পরিদর্শনে যান। নাসিম আখতারকে তার এ অসামান্য অবদানের জন্য অভিনন্দন জানান।
পরে স্পিকার সাংবাদিকদের জানান যে, তিনি রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করে নাসিম আখতারকে ‘প্রাইড অব পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীতদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেবেন।
Advertisement
শুধু তা-ই নয়, তিনি নাসিম আখতারের এ অবদানের জন্য প্রেসিডেন্ট পদক লাভে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সরদার উসমানের বুজদারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
নাসিম আখতার তার এ অসামান্য কাজের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পাকিস্তান ও গুজরাটের নাম তুলে ধরছেন বলেও জানান স্পিকার।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সৌদি আরব সরকারের কুরআন সংরক্ষণ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। যারা পাঞ্জাবের গুজরাট শহরের অধিবাসী নাসিম আখতারের কাজটিকে স্বীকৃতি দিয়ে মসজিদে নববিস্থ মিউজিয়ামে প্রদর্শনীর জন্য স্থান দিয়েছে।
সুঁই-সুতোয় কুরআনের লেখিকা নাসিম আখতার পাঞ্জাবের স্পিকার ও তার পরিবারকে তার সাক্ষাতের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
Advertisement
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে ৩০ বছর বয়সে এ কাজে হাত দেন তিনি। প্রত্যেক রাতের শেষাংশে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে কুরআনের আয়াত লিখতে বসতেন তিনি।
রাত ছাড়াও তিনি প্রতিদিনের কাজ শেষ করে জোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়ে কুরআনের আয়াত লেখার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এভাবেই তার কেটে যায় ৩২ বছর। গত জানুয়ারিতে তার এ কাজ শেষ করেন।
এ পাণ্ডুলিপিটির দৈর্ঘ্য ৫৬ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৩৮ সেন্টিমিটার। এর ওজন ৫৫ কেজি। পুরো কুরআন লিখতে ২৫ হাজার মিটার কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। এ কুরআনকে ২৪ পৃষ্ঠায় এক পারা এবং ৩ পারা করে ১০ খণ্ডে ভাগ করা হয়েছে। তবে শেষ পারায় রয়েছে ২৮ পৃষ্ঠা। প্রতি পৃষ্ঠায় ১৫টি করে লাইন রয়েছে।
এমএমএস/জেআইএম