ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলা যে অঘটন ছিল না, সেটি আরও একবার দেখিয়ে দিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। সেভিয়ায় মঙ্গলবার সকালে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠের স্পেনকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। এই জয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে, সেইসঙ্গে গত মাসে ঘরের মাঠে লা রোজাদের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধটাও নিয়েছে তারা।
Advertisement
এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন বছরের গোলখরা কাটিয়েছেন রহিম স্টার্লিং, সেটাও আবার জোড়া গোলে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের অক্টোবরে গোল পেয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন স্টার্লিং। প্রথমার্ধের সাত মিনিট আগে আরেক গোল তার। ম্যানসিটি তারকার এই গোলের মাঝে স্যান্ডউইচের মতো ছিল মার্কাস রাশফোর্ডের করা ২৯তম মিনিটের গোলটি। তাতে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮তম মিনিটে এসে ব্যবধান কমান পাসো এলেসার। ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-২ হলেও ইংল্যান্ডের কাছে আসলে পাত্তাই পায়নি স্পেন। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ মিনিটে এসে গোল করেন রিয়াল তারকা সার্জিও রামোস।
Advertisement
ইংল্যান্ডের প্রথম গোলটি এসেছে মার্কাস রাশফোর্ডের অ্যাসিস্ট থেকে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের মধ্যে বুলেট গতির শট নেন স্টার্লিং। দ্বিতীয় গোলটিও প্রতি আক্রমণে। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের উঁচু করে বাড়ানো বল থেকে হ্যারি কেইন সেটা বাড়ান রাশফোর্ডের দিকে। এবার ডি বক্সে জোড়ালো শটে জাল খুঁজে নেন ম্যানইউ ফরোয়ার্ড।
৩৮তম মিনিটের গোলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হ্যারি কেইনের। ডান দিক থেকে তার গোলমুখে বাড়ানো বল আলতো টোকায় জালে ঢুকিয়ে দেন স্টার্লিং।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া স্পেন আনন্দের উপলক্ষ্য পায় ৫৮ মিনিটে। মার্কো আসেনসিওর কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে গোল করেন এলেসার। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে দানি সেবাইয়োসের ক্রসে হেড করে দলকে আরেকটু সান্ত্বনা দেন রামোস, তবে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি।
১৫ বছর পর ঘরের মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারলো স্পেন। ২০০৩ সালে গ্রিসের কাছে হারের পর ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। আর ৩১ বছর পর স্পেনের মাঠে প্রথম জয়ের দেখা পেল ইংল্যান্ড। সর্বশেষ তারা জিতেছিল ১৯৮৭ সালে।
Advertisement
এমএমআর/পিআর