কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে সুনির্দিষ্ট আইন চায় নারীবাদী সংগঠনগুলো। তারা বলছেন, বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিষ্পত্তি করার কোনো আইন নাই। সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দের্শনা রয়েছে। এই নিদের্শনাতেই ৯ বছর থেকে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিধান। কিন্তু এখন এই নির্দেশনার বাইরে এসে সুনির্দিষ্ট আইন জরুরি। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন। ‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন, ২০১৮’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ৫টি নারীবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম। সংগঠনগুলো হল- বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি, ওশি ফাউন্ডেশন, কর্মজীবী নারী, বিলস ও ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশন। বক্তারা বলেন, কমক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের হয়রানি প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে। যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একইসঙ্গে উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। এরপরেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তৈরি হচ্ছে না।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৯ সালে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নিজেস্ব ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে বলে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়। নিয়মানুসারে আদালতের নির্দেশনার পর দেশে আইন না থাকলে ওই নির্দেশনাকেই আইন হিসেবে গণ্য করা হয়। এ হিসাবে গত ৯ বছর ধরে নির্দেশনার মধ্যেই আটকে আছে ‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইন’। কিন্তু এখন সময় এসেছে- একটি পরিপূর্ণ আইন তৈরি করার।
এ সময় একটি খসড়া আইন তুলে ধরা হয়। যা আইন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের পেশ করা হয়েছে বলে তারা জানায়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ওশি ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাহিদা আক্তার কনা। তিনি বলেন, স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে যদি যৌন হয়রানি বিচার সংক্রান্ত সেল থাকে, তাহলে আদালতের ওপর চাপ কমে যাবে। ভুক্তভোগীকে আদালতে বছরের পর বছর দৌড়াদৌড়ির প্রয়োজন হবে না। দ্রুত সময়ে তারা ন্যায়বিচার পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকী রোজোয়ানা, বিলস প্রোজেক্ট কো-অর্ঢিনেটর ও পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার প্রমুখ।
Advertisement
এমএ/জেএইচ/পিআর