জাতীয় দলে ফেরার মিশনে চলতি ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটে একসময়কার সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্য। প্রথম দুই রাউন্ডে ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন রানে ফেরার আভাস। প্রথম রাউন্ডে ৫৩ রান করার পরে দ্বিতীয় রাউন্ডে থেমেছিলেন ৪৯ রান করে।
Advertisement
কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে সহায় হলো না তার ভাগ্য। বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন তিনি। দেখেশুনে খেলছিলেন প্রতিটি বল। তবে আউট হতে হয়েছে রানআউটের শিকার হয়ে।
৩২তম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের পতনে আসেন উইকেটে। দেখে শুনে উইকেটে কাটিয়ে দেন প্রায় ৬ ওভার, যার মধ্যে তিনি একাই খেলেন ২০ বল। কিন্তু তখনো খোলা হয়নি রানের খাতা।
৩৯তম ওভারে তরুণ অফস্পিনার নাঈম হাসানের বোলিংয়ে রানের খাতা খুলতে গিয়ে আউট হয়ে যান মুমিনুল হকের সরাসরি থ্রোতে। যার ফলে তার ধৈর্য্যশীল ইনিংসটি থেমে যায় শূন্য রানেই।
Advertisement
আশরাফুলের রান আউটের মতোই দুর্ভাগা তার দল ঢাকা মেট্রো। তার পরপরই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র। এর খানিকবাদে ব্যথা পেয়ে আহত অবসর হন এখনো পর্যন্ত ইনিংসের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান শামসুর রহমান শুভ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৭ ওভার শেষে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৩ রান। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম ও সাদমান ইসলাম। আগের রাউন্ডে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করা সাদমান ফেরেন ৩৬ রানে, নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
স্রোতের বিপরীতে শামসুর শুভ হাঁকান ফিফটি। ১০৫ বলে খেলে ৪ চারের মারে ঠিক ৫০ রান করেই মাঠ ছাড়েন আহত অবসর হয়ে। মেহরাব ও আশরাফুলের ব্যাট থেকে আসে শূন্য রান। সৈকত আলি ০ এবং জাবিদ হোসেন ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এসএএস/পিআর
Advertisement