প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ঐক্য করেছেন খুনি, সন্ত্রাসী, অগ্নিসংযোগকারী, মানি লন্ডারিংকারী ও এতিমের টাকা আত্মসাৎকারীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, খুনি তারেকের সঙ্গে কামাল গংদের ঐক্য জনগণ মানবে না। বড় বড় নীতির কথা বলে যারা তারা আজ খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কোথায় গেলো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নীতি?
Advertisement
রোববার শরীয়তপুরের শিবচরে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. শামসুদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, আমির হোসেন আমু, নূরে আলম চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীর উপাধি আমরাই তাকে দিয়েছিলাম। সেই কামাল হোসেন গংয়ের সঙ্গে জুটেছে আরো কিছু খুচরো পার্টি। আমি কামাল হোসেনকে বাহবা জানাই। তিনি আজ কাদের সঙ্গে ঐক্য করেছেন! ড. কামাল আইনের কথা বলেন, মানবাধিকারের কথা বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, আর যে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সঙ্গে তিনি ঐক্য করেছেন।
তিনি বলেন, ড. কামাল নেতা মেনেছেন কাকে, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপিতে কি একটা লোকও ছিল না যিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার হতে পারেন। যে মানুষ মানি লন্ডারিং কেসে সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে পলাতক হিসেবে বিদেশে অবস্থান করছে। তাকেই বিএনপি বানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেই তারেক রহমানের অধীনে ড. কামাল হোসেন গং ঐক্য করেছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বড় বড় নীতির কথা বলে যারা তারা আজ খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের কথা কেউ শুনবে না। তারা কি করতে পারবে, তারা কি করতে চায়? তারা সরকারের উন্নয়ন দেখে না? কামাল হোসেনকে সাবাস জানাই তিনি আমাদের দল থেকে চলে গিয়ে নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষের মুঠো ধরেছেন সেই ধানের শীষে ধান নেই চিটা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। সেখানে তিনি হাত মিলিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া খুনি। বিএনপির রাজনীতি হলো হত্যা, খুন আর ষড়যন্ত্র। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১-এ বিএনপি-জায়ামাত ক্ষমতায় আসে। রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। হাওয়া ভবন তৈরি করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে। বিএনপি নেত্রীর দুই ছেলের অর্থপাচার। প্রধানমন্ত্রী হয়েও কালো টাকা সাদা করেছিল। আজ যে ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য হয়েছে তা মিলের কারণেই হয়েছে। কারণ ড. কামালও কালো টাকা সাদা করেছিলেন। রতনে রতন চেনে শেয়ালে চেনে কচু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ৯৮০ কোটি টাকা লুটপাট। অর্থপাচারের মামলার রায়ে তারেকের ৭ বছরের জেল ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ৫ বছরের জেল। জামায়াত-বিএনপির ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। আইভি রহমানসহ ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা। ৫০০ জনের বেশি আহত। ১৪ বছর পর ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়। বাবর-পিন্টুসহ ১৯ জনের ফাঁসি। তারেক-হারিছসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য ও আমাকে হত্যা করতেই এই গ্রেনেড হামলা। খালেদা জিয়া-তারেক এরা যে খুনি, আদালতের রায়ে তা আবার প্রমাণিত হলো। রায় নিয়ে কোনো সহিংসতা সহ্য করা হবে না। বিএনপির সৃষ্টি বাংলাভাই। ৫০০ স্থানে বোমা হামলা। ১০ ট্রাক অস্ত্র। কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মমতাজউদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতা-কর্মী হত্যা। সেই খুনিদের সঙ্গে ড. কামাল করেছেন ঐক্য।
Advertisement
এফএইচএস/এসএইচএস/আরআইপি