মোহাম্মদ মিঠুন। নতুন কোনো নাম নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরেই নামটি উচ্চারিত হয়। উইকেটকিপিং করেন। পরিচয় মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবেই। বেশ কয়েকবার দলে এসে আবার বাদ পড়েছেন শুধুমাত্র বাজে পারফরম্যান্সের কারণে। কোনোবারই নিজেকে জাতীয় দলে খেলার মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি।
Advertisement
অবশেষে পারলেন। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে অন্তত দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের ভিত রচনা করেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে তো কঠিন বিপদের মুহূর্তে মুশফিকের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকেই জয়ের রাস্তায় নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৬০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখেন মিঠুন।
তো কিভাবে সম্ভব হলো এটা। আগের মিঠুনের সঙ্গে এখনকার মিঠুনেরই বা কি পার্থক্য। কিভাবে এভাবে নিজেকে পরিবর্তন করলেন তিনি? মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব রহস্যের উত্তর জানালেন বাংলাদেশ দলের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। শুধু জানলেন, আগে নিজের মধ্যে জড়তা ছিল। এখন সেই জড়তা কেটে গেছে। পার্থক্য বলতে এই যা।
সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। এই সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের ওয়ানডে দলে রয়েঠেন মিঠুন। সিরিজের জন্য কি প্রস্তুতি নিচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত স্ট্রোক প্লেয়ার। স্ট্রোক খেলতেই পছন্দ করি। আর যখন একটা বড় ইনিংস খেলবেন, তখন কিছু বড় শট দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমি নরমালি পেস বোলিং এর বিপক্ষে সাইড স্ট্রোক খেলতে পছন্দ করি এবং স্পিনারদের বিপক্ষে ফিট ইউজ করে থাকি।’
Advertisement
কিন্তু আপনি তো সোজা বলে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন এশিয়া কাপে। একজন জানতে চাইলে মিঠুন বলেন, ‘আসলে চাপের মুখে ব্যাট করতে গেলে অনেক সময় লুজ বলও মিস হয়ে যায়। এটাই ক্রিকেট। তারপরও এসব নিয়ে কাজ করছি। সামনে অনেক সময় আছে, এসব নিয়ে কাজ করব।’
এশিয়া কাপের আগের মিথুন ও পরের মিথুনের মধ্যে পার্থক্য কি। কিভাবে নিজেকে এভাবে পরিবর্তন করলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন আসলে ওইরকম কিছু না। আগের মতই আছি। শুধু আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে। আগে একটা জড়তা কাজ করত। না পারলে আবার বাইরে চলে যেতে হবে- এই চিন্তা কাজ করত। এখন সেটা আপাতত নেই। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য এসেছে। এখন আত্মবিশ্বাস আছে যে, এই পর্যায়ে ভাল করতে পারব।’
আইএইচএস/পিআর
Advertisement