নগরীর বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরীর অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
Advertisement
এদিকে রোববার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে নগরীর বহদ্দারহাট ও কর্ণফুলী এলাকা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ-বাঁশখালী-আনোয়ারা ও চন্দনাইশ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। অনেকেই বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ, টেম্পো ও হিউম্যান হলারে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
মালিক-শ্রমিকদের অভিযোগ, শনিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর বাকলিয়া থানার কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় হানিফ সুপার পরিবহনের কাউন্টারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা দেয়। এরপর স্থানীয় থানায় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চাইলে ওসি প্রণব চৌধুরী পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিবের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ কারণে ওসির অপসারণ দাবিতে শনিবার বিকেল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব সড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
জানা যায়, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় হানিফ পরিবহনের মালিক দণ্ডিত হওয়ায় শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে হানিফ এন্টারপ্রাইজ ও হানিফ সুপার বাসের কাউন্টারে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে ভাঙচুর চালানো হয়। কিন্তু নগরীর বাকলিয়া থানার কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের হানিফ সুপার পরিবহনের সঙ্গে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. হানিফের মালিকানাধীন হানিফ এন্টারপ্রাইজের কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত হানিফ সুপারের মালিক হচ্ছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. কামাল উদ্দিন।
Advertisement
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি, নাম প্রায় এক হলেও মালিকানার ভিন্নতার কথা ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের জানানো হলেও তারা সেই কথা শোনেনি।
চট্টগ্রাম বিলাসী বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিবের ছেলে নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা শনিবার ভুলবশত হানিফ সুপার পরিবহনের কাউন্টারে তালা দেয়। কিন্তু এই পরিবহনটির প্রকৃত মালিক হলো সাতকানিয়ার এক ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, আমার বাবা তাৎক্ষণিক বাকলিয়া থানার ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি এক পর্যায়ে তিনি তাকে ‘রাজাকার’ বলে গালি দেন।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বিষয়টি জানতে পেরে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ওসি প্রনব চৌধুরীর অপসারণ না হওয়া পযর্ন্ত এ রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।
Advertisement
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি নয়, বরং আবুল কালাম সাহেব আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। আমি এ ঘটনায় একটি জিডি করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’
আবু আজাদ/এমএমজেড/পিআর