বিনোদন

যে নারীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল যৌন হেনস্তার ‘মিটু’ আন্দোলন

#MeToo আন্দোলনে একটু একটু করে সরব হয়েছেন অনেকেই৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই ঝড় উঠছে। সেই ঝড়ে একটার পর একটা উইকেট পড়েই চলেছে হলিউড ও বলিউডে। নামী দামি সব তারকা অভিনেতা ও পরিচালকদের নাম উঠে আসছে নারীদের যৌন হেনস্তাকারীর তালিকায়।

Advertisement

শোবিজের বাইরেও ক্রীড়া জগত অথবা রাজনৈতিক, সবখানেই লেগেছে ‘মিটু’র আঁচ। বলা যায় বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এটি। কিন্তু এই #MeToo-র নেপথ্যে অর্থাৎ এই আন্দোলনের শুরুটা কে করেছিলেন সেটা কী জানা আছে?

তবে জেনে নিন সেই গল্প ও মহীলার নাম। ২০০৬ সালে প্রথমবার #MeToo প্রকাশ্যে আসে৷ তারপর থেকেই এই অভিযান শুরু৷ আমেরিকার জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট তারানা বুর্ক এই আন্দোলন প্রথম শুরু করেন। যৌন হেনস্তা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের কথা প্রকাশ্যে তুলে আনার জন্য তিনিই প্রথম উৎসাহিত করতে শুরু করেন সকলকে৷ যে মেয়েরা কোনো না কোনো সময় এই যৌন হেনস্তার মুখে পড়েছেন তাদের এই #MeToo-তে সাড়া দেওয়ার অনুপ্রেরণা দেন তিনি৷ এরপর থেকেই বারুদের মতো ছড়িয়ে পড়ে এটি।

প্রসঙ্গত, #MeToo নামের একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মও তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ১৩ বছরের এক নাবালিকা জানিয়েছিল সে কিভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিল৷ তারানা বুর্কও এমন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন৷ তিনি জানান, ৬ বছর বয়সে তার ওপর যৌন অত্যাচার চলে৷ প্রতিবেশি একটি ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছিল৷ এবং বেশ কয়েক বছর ধরে তার ওপর এই যৌন অত্যাচার হয়েছিল৷

Advertisement

২০১৭ সালে #MeToo ফের একবার উঠে আসে৷ হলিউডি সেলেব এলিসা মিলানো #MeToo-কে সঙ্গী করে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া এই হেনস্তায় সরব হয়েছিলেন৷ তিনি ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ট্যুইট করে লিখেছিলেন, যদি আপনিও যৌন অত্যাচচারের শিকার হয়েছেন তাহলে বলুন এবং লিখুন #MeToo যার মানে আমিও৷

এরপরেই হলিউড থেকে তা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকে৷ এবং ২০১৮ অর্তাৎ চলতি বছরে ভারতে যেন এক ঝড় হিসেবেই দেখা দিয়েছে এই #MeToo.

এলএ/পিআর

Advertisement