চলতি বছরটা জার্মানির ফুটবল ইতিহাসের জন্য নেতিবাচক একটি বছরই বটে। ডিফেন্ডিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে খেলতে গিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে তারা বাদ পড়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই।
Advertisement
এরপর থেকে প্রীতি ম্যাচ বা চলতি উয়েফা নেশনস লিগের কোনোটাতেই নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারছে না জোয়াকিম লোয়ের শিষ্যরা। যার সবশেষ উদাহরণ নেশনস লিগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩-০ গোলে উড়ে যাওয়া।
আমস্টারডামে খেলতে গিয়ে ২০১০ বিশ্বকাপের রানারআপদের কাছে পাত্তাই পায়নি বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। চলতি বছরে এটি জার্মানির পঞ্চম হার। এর আগে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে মাত্র ২ বছর পাঁচটি করে ম্যাচ হেরেছিল তারা।
অন্য দিকে গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবার জার্মানির বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল নেদারল্যান্ডস। জার্মানির বিপক্ষে ডাচদের সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০০২ সালের নভেম্বরে, ৩-১ গোলে। জার্মানদের বিপক্ষে এরপরের পাঁচ দেখায় তিনটিতে ড্র করেছিল নেদারল্যান্ডস, হেরেছিল ২টিতে।
Advertisement
শনিবার রাতের ম্যাচে খেলতে নামার আগে নেশনস লিগে জয়বঞ্চিত ছিলো দুই দলই। জার্মানি গোলশূন্য ড্র করেছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সাথে। একই প্রতিপক্ষের কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস।
তবে আগের ম্যাচে হারের ছাপটা এ ম্যাচে পড়তে দেয়নি রোল্যান্ড কোম্যানের শিষ্যরা। শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ মাতিয়ে রাখে দুই দল। ত্রিশতম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। কর্ণার থেকে মিডফিল্ডার রায়ান বাবেলের হেড ক্রসবারে লাগার পর ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান লিভারপুলের এ তারকা ডিফেন্ডার।
প্রথমার্ধ শেষ হয় নেদারল্যান্ডসের এক গোলের লিডেই। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে দুই দল। কিন্তু গোল পাচ্ছিল না কেউই। একসময় মনে হচ্ছিলো ১-০ গোলেই শেষ হবে ম্যাচ।
ঠিক তখনই দৃশ্যপটে মেমফিস ডিপে’র আবির্ভাব। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে জার্মান গোলরক্ষকের পায়ের নিচ দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠিয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেন লিভারপুল মিডফিল্ডার ভেইনালডাম।
Advertisement
এসএএস/এমএস