প্রবাস

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

বাংলাদেশিরা দেশ থেকে যত দূরে থাকুক না কেন তারা কখনও ভুলতে পারেন না মায়ের ভাষা, নিজের গড়ে ওঠা সংস্কৃতি ও শৈশবের স্মৃতি। পেছনের স্মৃতি তাড়া করা যেন বাংলাদেশিদের রক্তে মিশে রয়েছে। শনিবার আমেরিকার ওরিগনের পোটল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।

Advertisement

বোঝায় উপায়ই ছিল না কোথায় এটা, বাংলাদেশে নাকি আমেরিকা। মূলত পোটল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বাংলাদেশি সংস্কৃতির পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য মাঝে মাঝে এ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘আমি হবো সকাল বেলার পাখি’ আবৃত্তি করেন সৃজন পাঠশালার বৃন্ত ক্লাসের শিশুরা। এছাড়া ধিতাং ধিতাং বলে, কবিতা ঝুমকো জবাসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রাণসঞ্চার করে।

অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ফ্যাশন শো। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, জীবনের বিভিন্ন রূপের প্রতিচ্ছবি ছিল যে আয়োজনে। কিছুক্ষণের জন্য সে পরিবেশনা মানুষের মনে ভিন্ন অনুভূতির জন্ম দেয়। হাসান রাজার গান ‘আগুন লাগাইয়া দিলো কোনে’ ছাড়াও রবীন্দ্র সংগীত, ব্যান্ড সংগীত কী ছিল না আসরে। একের পর এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এ যেন এক অন্যরকম আবহাওয় দেশ থেকে বহুদূরে ভিন্ন এক সংস্কৃতির মাঝে থেকে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে মনে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা। সৃজন পাঠশালার এ আয়োজনে শিশুদের এমন পরিবেশনার মূল পরিকল্পনায় যারা ছিলেন তারা হলেন- হাসান শাহরিয়ার অমি, এহসানুল করিম নাজিম, বশির মাহমুদ।

Advertisement

বুয়েটের পাঠ চুকিয়ে যারা ইনটেল কোম্পানিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে পোটল্যান্ডে বাংলাদেশি কমিউনিটির নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী নাজিয়া নাফসিন বিন্দু, ব্যান্ড শিল্পী দিপেস দাস আর হাসন রাজার গানে রজত পাল মাতিয়ে তোলেন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন পোটল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান খান।

এ সময় প্রবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি আরিফুর রহমান এবং সহকারী প্রধান ক্যামেরাম্যান মেসবাহউদ্দিন মল্লিককে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সর্বশেষে রাফিয়া রাজ্জাকের গান ‘কে বাশি বাজায় রে, মন কেন তা চাইরে গানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ সাংস্কৃতিত সন্ধ্যা।

আরএস

Advertisement