এশিয়ান গেমস ফুটবলের শেষ ষোলো, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনাল- এই হলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র প্রথম চার মাসের অ্যাসাইনমেন্ট। মোটা দাগে নতুন এ কোচের পারফরম্যান্স ভালো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও খুশি। চুক্তির বাকি দিনগুলোতে জেমি ডে জাতীয় দলকে আরো ক্ষুরধার করবেন- এমন প্রত্যাশা সবার।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষ করে কোচ জেমি ডে ছুটিতে যাচ্ছেন। রোববার স্বদেশি সহকারীকে নিয়ে দেশে যাবেন, ফিরবেন দিন পনের পরে। ততদিনে শুরু হয়ে যাবে ঘরোয়া ফুটবলের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ। সে টুর্নামেন্ট দেখে তিনি নতুন করে কাজ শুরু করবেন জাতীয় দল নিয়ে। জেমি ডে’র লক্ষ্য এখন নভেম্বরে একটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ।
১২ থেকে ২০ নভেম্বর ফিফা ফ্রেন্ডলির উইন্ডোর যে কোনো একদিন দেশের বাইরে ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রতিপক্ষ এখনো ঠিক হয়নি। ফিফা র্যাংকিংয়ে কাছাকাছি একটি দেশকে ম্যাচের জন্য পাওয়ার চেষ্টা করছে বাফুফে। তাদের চোখ গুয়াম, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ। এ চার দেশের মধ্যে যাদের সম্ভব হয় তাদের সঙ্গে নভেম্বরে হবে ফিফা ফ্রেন্ডলি।
ছুটিতে যাওয়ার আগে শনিবার বাফুফে ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন জেমি ডে। তার আগে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের সঙ্গে দীর্ঘ সময় তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন কোচ।
Advertisement
‘অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের প্রথম দিকে আমি ফিরবো। জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে ফুটবলাররা নিজ নিজ ক্লাবে ফিরেছে। ফিরে ফেডারেশন কাপের খেলা দেখে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করবো। খেলোয়াড়দের বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলাতে চাই। যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবো খেলোয়াড়দের ততো অভিজ্ঞতা বাড়বে। তার অংশ হিসেবেই এই ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ নির্ভর করছে দল পাওয়ার উপর। ফিফা র্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে উপরে এবং কাছাকাছি দলকেই পাওয়ার চেষ্টা করবো আমরা’- বলেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে।
জাতীয় দলের কোচ আশা করছেন, ফেডারেশন কাপের মাধ্যমে তিনি আরো ভালো খেলোয়াড় পাবেন এবং আরো ভালো দল তৈরি করতে পারবেন। সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালকে প্রাথমিক লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। সবাই খুশি দলের খেলা এবং লড়াকু মনোভাব দেখে। আমরা সঠিক পথেই আছি। আমরা এখন ফিফা র্যাংকিংয়ে নিজেদের আরো উপরে দেখতে চাই। আমরা যদি ১৫০ এ উঠতে পারি সেটা হবে অনেক ভালো। তবে সবই ধীরে ধীরে। এখন আমরা ১৯৩ তে আছি। এখন আমাদের টার্গেট ১৮০। তারপর ১৭০, ১৬০, ১৫০। এভাবে এগুতো পারলে সেটা হবে উন্নতি।’
আরআই/এসএএস/জেআইএম
Advertisement