রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ইপিডিএফের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় ইপিডিএফের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। এছাড়া সাতটি ভারি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলা বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রূপকারী ইউনিয়নের বারবিন্দুঘাটের বড়াদমে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ও আটক সন্ত্রাসীরা জেএসএস (এমএন লারমা) সংস্কারপন্থী গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটুআই মেজর রুবাইয়াত জামিল জানান, ভোর ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘাইহাট জোনের কমান্ডার লে.কর্নেল আলী হায়দারের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারি ইউনিয়নের বারবিন্দুঘাটের বরাদম এলাকায় অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই এনকাউন্টারে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়। এ সময় একজন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হন। আহত সেনাসদস্যকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি এসএমজি, দুইটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএলআর, ৫০০ রাউন্ড গুলি ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা বেশকিছু ইউনিফর্ম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় আরো তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। গুলিতে নিহত ও আটক সন্ত্রাসীদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বর্তমানে ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে করপোরাল লিয়াকত আহত হয়েছেন। আহত সেনা সদস্য লিয়াকতকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ফকির বলেন, ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল গেছে। সুশীল প্রসাদ চাকমা/এআরএ/এমএস
Advertisement