দেশজুড়ে

৯০ দিনে দান বাক্সে পড়ল ১০ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার পাওয়া গেছে ১০ বস্তা টাকা। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

Advertisement

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের পাঁচটি দান বাক্স তিন মাস পর খোলা হয়েছে। প্রথমে দান বাক্স থেকে টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। প্রতিবারই এসব দান বাক্সে পাওয়া যায় প্রায় কোটি টাকা। এবার কোটি টাকার ওপরে টাকা পাওয়া যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ অবস্থিত। এই মসজিদে ইবাদত-বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস অনেকের।

পাশাপাশি রোগ-শোক, বিপদে-আপদে এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন বিশ্বাস থেকে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন।

Advertisement

সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান, সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদসহ আরও ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের পাঁচটি দান বাক্স খোলা হয়। পরে ১০টি বস্তায় টাকা ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা আলাদা করা হয়।

পরে টাকা গণনার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। টাকা গণনায় সহযোগিতা করছেন মসজিদ কমপ্লেক্স মাদরাসার ছাত্ররা। টাকা গণনা শেষ হতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ বলেন, তিন মাস পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের পাঁচটি দান বাক্স খোলা হয়। এর মধ্যে ১০ বস্তা টাকা রয়েছে। স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা আলাদা করা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ টাকা গণনার কাজ শেষ হবে। সন্ধ্যায় নিরাপত্তা প্রহরীসহ টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে পাঠানো হবে।

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত ৭ জুলাই মসজিদের পাঁচটি দান বাক্স খোলা হয়েছিল। তখন মাত্র দুই মাসে ৮৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এর আগের বার তিন মাসে এক কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া যায়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে পাগলা মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মসজিদের আয় থেকে জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানসহ বিভিন্ন সেবামূলক খাতে সাহায্য দেয়া হয়। বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসার জন্য মসজিদের তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

Advertisement

নূর মোহাম্মদ/এএম/আরআইপি