বিয়ের নিশ্চয়ই অনেক উপকারিতা আছে। সবচেয়ে বড় উপকার হয় আপনার স্বাস্থ্যের। শারীরিক আর মানসিক দুটোই। এক্ষেত্রে শর্ত একটাই, বিয়েটা সুখী বিয়ে হতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই অসুখী বিয়েরও স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে এবং বেশকিছু মারাত্মক রোগও হতে পারে এই কারণে। তাই বিবাহিত জীবনে সুখী হলেই মিলবে সুস্বাস্থ্যের দেখা।
Advertisement
আরও পড়ুন: সাবেক প্রেমিক যেভাবে বন্ধু হতে পারে
কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত ব্যক্তিদের শরীরে কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোনটি অনেক কম থাকে। কর্টিসলের মাত্রা দীর্ঘদিন ধরে বেশির দিকে থাকলে একাধিক লাইফস্টাইলগত রোগ ধরে ফেলবে আপনাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে বিবাহিত দম্পতিদের কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অবিবাহিত মানুষদের চেয়ে বেশি! আসলে এ ব্যাপারটার সামাজিক দিকটা ভেবে দেখা দরকার। যৌথ চিকিৎসাবিমা, যৌথ রোজগারের কারণে টাকাপয়সার স্বাচ্ছল্য স্বাভাবিকভাবেই বেশি, ফলে বিবাহিতদের সুচিকিৎসার সুযোগও বেশি। এছাড়া আত্মীয়বন্ধুদের সাহচর্য, যত্নও তারা বেশি পান।
Advertisement
ফিনল্যান্ডের তুর্কু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, বিবাহিত মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৬৫ ভাগ কম। এক্ষেত্রেও কর্টিসলের ভূমিকা রয়েছে। সুখী বিয়েতে স্ট্রেসের পরিমাণ কম, তাই কর্টিসলও কম। ফলে শুধু হৃদরোগই নয়, কর্টিসলের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ এড়ানো সহজেই সম্ভব।
আরও পড়ুন: আপনার প্রেমিক কি মিথ্যাবাদী? পাঁচ উপায়ে বুঝে নিন
সুস্থ শরীরের পিছনে সুস্থ মনের ভূমিকাও জোরালো। বিয়ে সুখের হলে ডিপ্রেশনের মতো মনের অসুখ আপনার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না। অতএব নির্ভয়ে বিয়ে করুন, চেষ্টা করুন বিয়েটাকে সুখী করতে আর উপভোগ করুন জমজমাট একটি জীবন।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement