আগের ম্যাচে ইমরান তাহির একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু পরের ম্যাচের জন্য বিশ্রাম দেয়া হয় এই লেগ স্পিনারকে। তার পরিবর্তে দলে নেয়া হয় তাবরিজ শামসিকে। সবার দৃষ্টি ছিল শামসির প্রতিই। ইমরান তাহিরের অভাবটা তিনি কিভাবে পোষান সেটাই ছিল দেখার বিষয়। কিন্তু তাবরিজ শামসি ততটা কার্যকরি হলেন না। অন্যদিকে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন কিছুটা নিষ্প্রভ। যে কারণে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এসে জিম্বাবুয়েকে হারাতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
Advertisement
পচেফস্ট্রমে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেয়া মাত্র ১৩৩ রানের লক্ষ্য পার হতে চার উইকেট হারাতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জিততে হয়েছে ১৬তম (১৫.৪) ওভারে গিয়ে। জেপি ডুমিনি ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ডেভিড মিলার অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন করেন ২২ রান। কুইন্টন ডি কক করেন ২৬ রান। ফন ডার ডাসেন আউট হন ১৩ রান করে। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি আউট হন ১২ রানে। এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। শন উইলিয়ামস ২৮ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেই কেবল ১৩০ রান পার করতে পারে জিম্বাবুইয়ানরা। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। ব্রেন্ডন টেলর খেলেন ২৯ রানের ইনিংস। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা করেন ২১ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।
প্রোটিয়াদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি, ড্যান প্যাটারসন এবং রবি ফ্রিলিঙ্ক। তাবরিজ শামসি নেন ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট এবং আন্দিল পেহলুকাইয়ো সবচেয়ে কৃপণ থাকলেও কোনো উইকেট পাননি। তিনি ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৫টি। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement