প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। এক তথ্য বিবরণিতে এ খবর জানানো হয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেললাইন জাজিরা, শিবচর, ভাঙ্গা জংশন হয়ে বিদ্যমান ভাঙ্গা স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর জেলা সংযুক্ত হবে।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। ঢাকা হতে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, যশোর, খুলনা ও দর্শনার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত রুটে উন্নততর রেল যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে। এ রুটে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্রডগেজ মালবাহী ও কন্টেইনার ট্রেন চলবে। এটি বাংলাদেশের মধ্যে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি উপ-রুট হবে। ভবিষ্যতে এ রুটে দ্বিতীয় লাইন নির্মাণ এবং বরিশাল ও পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরকে এই রুটের সঙ্গে সংযুক্তকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
জিটুজি পদ্ধতিতে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড নামক চীন সরকারের মনোনীত ঠিকাদার এই প্রকল্পের কাজ করছে। চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ২ হাজার ৬৬৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
Advertisement
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২৩ কিলোমিটার এলিভেটেড ভায়াডাক্টে ব্যালাস্টবিহীন রেললাইন নির্মাণ প্রবর্তন করা হচ্ছে, যা একটি নতুন প্রযুক্তি। এলিভেটেড ভায়াডাক্টের ওপর ২টি প্ল্যাটফর্ম, ১টি মেইন লাইন ও ২টি লুপ লাইনসহ রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ ও তাতে লিফট স্থাপন করা হবে। প্রায় ১১ মিটার উঁচু রেল লাইনের নিচ দিয়ে সড়কের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণের মাধ্যমে উভয় পথে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ ট্রেন এবং গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করা হবে।
এফএইচএস/জেএইচ/পিআর