রাজনীতি

বিএনপি একটি সন্ত্রাসী লালনকারী রাজনৈতিক দল

বিএনপি একটি সন্ত্রাসী লালনকারী রাজনৈতিক দল বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘এটা স্বীকৃত, পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। এরা ১৫ আগস্ট হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে, লালন করেছে। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। রাষ্ট্রদূত বানিয়েছে। এমপি-মন্ত্রী বানিয়ে পার্লামেন্টে বসিয়েছে। শুধু তাই নয় জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। প্রতিটি হত্যাকাণ্ড তাদের আমলে হয়েছে। আর যাই হোক তাদের মুখে গণতন্ত্র আর আইনের শাসনের কথা মানায় না।’

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যাালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

নাসিম বলেন, ‘২১ আগস্টের হামলার পর আপনারা (বিএনপি) তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন, কেন বিচার করেন নাই? তদন্ত করেন নাই কেন? তিনটা বছর আপনার ক্ষমতায় ছিলেন, বিচার করেন নাই কেন, কেন বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন? কেন জজমিয়া নাটক সাজিয়ে ছিলেন? এর জবাব কে দিবে? এই কারণের আপনাদের পাপের ফল আপনাদের ভোগ করতে হচ্ছে।’

Advertisement

১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘এরা (বিএনপি) হচ্ছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রু। গণতন্ত্রের হত্যাকারী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা মনে করি, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে বাংলার জনগণের প্রত্যাশার পূরণ হয়েছে। এর রায়ের মধ্যে দিয়ে বিএনপিকে বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

নাসিম বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আদালতকে। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন দেশের নেতৃত্বে শূন্য করতে এই বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দেশের ১৬ কোটি মানুষ একমত।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। আইভি রহমানসহ ২৪ জন মানুষকে আমরা হারিয়েছি। এই দুঃখ-বেদনা দীর্ঘ একযুগ ধরে আমরা বহন করেছি। বিএনপি-জামায়াত সেদিন ক্ষমতায় ছিল। খালেদা সেদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২১ আগস্টের হামলার বিচারতো দূরের কথা তদন্ত পর্যন্ত করা হয়নি। এটা এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘কীভাবে সেই হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছে। সেইদিন কীভাগে সাক্ষীদের না ডেকে জজ মিয়ার নাটক সাজানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে উক্তি করা হয়েছিল শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসেছে। কতখানি নির্মম, কতখানি বর্বর তামাশা করেছিল আমাদের সঙ্গে। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকতে পারে, প্রতিহিংসা নয়।’

Advertisement

১৪ দলের সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/পিআর