প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দিন বদলের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং তা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে এবং গ্রামীণ জনপদের ভাগ্যবঞ্চিত জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, সবদিক থেকে মানুষ যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। মানুষ ভালো থাকবে, সুন্দর থাকবে, সেটা মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করছি।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আজ ৭টি সেতু, একটি জেটি, ৯টি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন ও হলরুম, নবনির্মিত ৬টি মাতৃসদন ভবন এবং ১০টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সারাদেশের ২০ জেলায় মোট ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
সরকারের উন্নয়ন সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীতে কোনো দেশ এত অল্প সময়ে এত উন্নতি করতে পেরেছে কি না জানি না। আমরা কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছি।
টানা ১০ দশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুফল তুলে ধরে সরকারের ধারাবাহিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন জেলার উপকারভোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে ৫৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির সড়কে ডেপা নদীর ওপর ২২৮ মিটার দীর্ঘ সেতু, জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৫৬০ মিটার দীর্ঘ ‘শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সেতু’ ও ‘শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতু’, টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৫২০ দশমিক ৬০ মিটার দীর্ঘ ‘দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেতু’,শ্রীপুর উপজেলায় ৩১৫ মিটার দীর্ঘ সেতু, মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৬৮৬ দশমিক ৭৫ মিটার দীর্ঘ ‘শেখ লুৎফর রহমান সেতু’ এবং নড়াইলে চিত্রা নদীর ওপর ‘শেখ রাসেল সেতু’।
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সেকশনে, গাজীপুরের দক্ষিণ কোলার বাজারের ধীলাশ্রমে, রংপুরের পূর্ব খাসবাগে, কিশোরগঞ্জের হারুয়ায়, কুষ্টিয়ার মিলের পাড়ায় ও গোপালগঞ্জ পৌরসভায় ছয়তলা নগর মাতৃসদন এবং গাজীপুরের নীলের পাড়ায়, কুমিল্লার কমলাপুর, বাউবন্দ ও রসুলপুরে, রংপুরের এরশাদ নগর ও জুমাপুড়ায়, কুষ্টিয়ার বারাদি ও বড়খাদায়, কিশোরগঞ্জের নুরানী ও তারাপাশায় তিনতলা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
এ ছাড়া নীলফামারীর ডোমার, নওগাঁর আত্রাই ও রাণীনগর, নাটোরের সিংড়া, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, যশোরের শার্শা এবং নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ‘উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম উদ্বোধন করা হয়েছে।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর