সিনেমার সেই সোনালি দিন আর নেই। কমছে সিনেমার সংখ্যা ও মান। বাড়ছে শিল্পীদের বেকারত্ব। কমছে সিনেমা হল। একসময় সারাদেশে ১ হাজার ২০০ এর অধিক সিনেমা হল ছিল। নতুন সিনেমা মুক্তি পেলেই সেসব হল ভরে উঠতো দর্শকে। সেই স্রোত থেমে গেছে, হারিয়েছে সিনেমার ঐতিহ্য। এখন প্রায় প্রতি বছরই ১০-১৫টি হল বন্ধ হচ্ছে। ক্রমেই রক্ত-মাংসহীন কঙ্কালে পরিণত হচ্ছে অপার সম্ভাবনার চলচ্চিত্র শিল্প।
Advertisement
যেখান থেকে বছরে কোটি টাকা রাজস্ব হওয়ার কথা ছিল সেখানে কোটি কোটি টাকার লোকসান। সিনেমায় বিনিয়োগের আগ্রহ হারিয়েছেন প্রযোজকরা। হল মালিকদের দাবি, সিনেমার ব্যবসা বলতে কিছু নেই। তাছাড়া নানা সঙ্কটে আবদ্ধ বর্তমানের ঢাকাই চলচ্চিত্র। আছে রাজনৈতিক প্রভাব, ক্ষমতা ও জনপ্রিয়তার নেতিবাচক প্রভাব। আলাপ আলোচনায় উঠে আসে এমন নানা সমস্যার কথাই।
তবে সবচেয়ে মহামারী আকার ধারণ করেছে সিনেমা হলের সঙ্কট। সবমিলিয়ে দেশে ৩০০টি সিনেমা হলও নেই। যেগুলোও বা টিকে আছে, সেগুলোর পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা যেন টিকে থাকার অভিশাপই বহন করছে। এইসব হল নিয়ে অভিযোগের কমতি নেই দর্শকদের।
কিন্তু সিনেমায় ব্যবসা নেই দাবি তুলে হল আধুনিকায়ন করার সামর্থ্য নেই বলে দায় সারছেন হল মালিকরা। নিজেদের দায়িত্বটা এড়িয়ে বসে আছেন কেউ একটা আলাদীনের চেরাগ নিয়ে হাজির হবেন, সেই চেরাগের জিন এসে বদলে দেবে তার সিনেমা হল। তিনি কেবল ব্যবসা করে মুনাফা ঘরে তুলবেন। বেশি প্রশ্ন করা হলে হল বন্ধ করে দেয়ার ভয় দেখানোটাও সিনেমা হল মালিকদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
Advertisement
অনেক প্রযোজকের অভিযোগ, সিনেমার ব্যবসার টাকা ঠিকমতো হল থেকে বুঝে পান না তারা। হল মালিকরা ব্যবসা হলেও বলছেন ব্যবসা নেই, না হলেও বলছেন ব্যবসা নেই। এই অসাধুতা সামাল দিতে অনেকেই ই-টিকিটিং ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। এটা প্রাসঙ্গিক এবং সময়ের দাবি।
তবে ই-টিকিটিং ব্যবস্থার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা ফলপ্রসূ হতে পারে সিনেমা হল নিয়ে উদ্যোগ। এই উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। যখন দেশে বিনিয়োগ কমে যায় তখন রাষ্ট্র নানা কৌশলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করে, আকর্ষিত করে। তেমনি সিনেপ্লেক্স নির্মাণে সরকারকে উৎসাহী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন চলচ্চিত্রের সংঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ভালো গল্প, ভালো নির্মাণ, ভালো শিল্পীর অভাব এই ইন্ডাস্ট্রিতে নেই। টেকনোলজিতে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও লোকসানের ঝুঁকি কাটাতে পারলে প্রযোজকরা সেটা ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। কিন্তু সিনেমা দেখানোর মতো আধুনিক সিনেমা হল না থাকলে বিরাট এই শিল্পটিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে সরকারি উদ্যোগে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ। এই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টি আসন রয়েছে। প্রতিটি আসন থেকে একজন এমপি নির্বাচিত হয়ে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রতিটি আসনে স্থানীয় এমপিদের তত্ত্বাবধানে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। হতে পারে সরকারি অর্থায়নে, হতে পারে সরকারি জমিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন নির্মাণে কিংবা সরকারি বিশেষ সুবিধার আওতায় সম্পূর্ণই ব্যক্তি মালিকানাধীন বিনিয়োগে সিনেপ্লেক্স। এমপিরা নিজ নিজ এলাকার ব্যবসায়ীদের সিনেপ্লেক্সে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পারেন।
প্রায় প্রতি উপজেলায়ই শিল্পকলা একাডেমি রয়েছে। তারই আশপাশে গড়ে উঠতে পারে সিনেপ্লেক্স। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের দর্শক পাবেন ৩০০টি সিনেপ্লেক্স, যা বদলে দেবে সিনেমার এই মন্দ সময়।
Advertisement
সরকার তার সদস্যদের নিয়ে এর আগেও সম্মিলিতভাবে অনেক সমস্যারই সমাধান করেছে। উদ্যোগ নিলে এই সমস্যারও সমাধান হবে বলে মনে করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলাটা এমপিদের কাজ নয়। তারা রাজনীতি সামলাবেন নাকি সিনেপ্লেক্স বানাবেন! তবে তারা স্থানীয়ভাবে কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন। প্রায় সব এলাকাতেই সরকারের অফিস আদালত রয়েছে। চলচ্চিত্রও তো সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন। সরকারি আমলা দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় এফডিসি। সেক্ষেত্রে এমপিরা নিজ নিজ এলাকার সরকারি লোকদের দিয়ে কাজটি করাতে পারেন। এটির জন্য আলাদা প্রকল্পও পাস করা যেতে পারে। অথবা ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে আকৃষ্ট করা যেতে পারে। তিনশ সিনেপ্লেক্স যদি হয় তাহলে সিনেমার ব্যবসা কিন্তু দাঁড়িয়ে যাবে। এটা সত্যি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্র সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম, সংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী ক্যানভাস। সিনেমা আয়নার মতো সমাজের ভুল ত্রুটি তুলে ধরে সেগুলো শোধরে নেয়ার সুযোগ করে দেয়। এটা একদিকে বিনোদন দেয় অন্যদিকে মানুষকে শিক্ষা দেয়, সচেতন করে তোলে। সরকারের উচিত চলচ্চিত্রের এই দুর্দিন কাটাতে মনোযোগী হওয়া। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনেক বড় কাজও সহজ হয়ে যায়। আমার মনে হয় এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারে সরকার।’
একইভাবে চলচ্চিত্রকে শিক্ষার বিরাট ক্ষেত্র মনে করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘সিনেমায় সবসময়ই ভালোর জয় দেখানো হয়, মন্দ মানুষের পরাজয় দেখানো হয়। এটি কিন্তু সমাজে ভালোকে প্রতিষ্ঠিত করে। সিনেমা মানুষের মানবিকতা, মূল্যবোধ, রাষ্ট্রের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা দেখানোর শিক্ষাও দেয়। পাশাপাশি সিনেমা একটি শিল্প। এখান থেকে রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে পারে। এমন একটি সম্ভাবনাময় খাত দিন দিন কিছু অসাধু মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল। এই সঙ্কট কাটাতে সরকার ৩০০ আসনে ৩০০টি সিনেমা হল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে পারে। আমি এটাকে সমর্থন করি। বর্তমান সরকার সিনেমাকে ভালোবাসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ভাবেন আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে। তার সামনে এই দাবিটি উপস্থাপন করা যেতে পারে। সরকারের সহযোগিতায় প্রত্যেক আসনের এমপিদের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠতে পারে একটি করে সিনেপ্লেক্স। ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে আসতে পারেন। তাদের উৎসাহিত করতে হবে।’
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি বরাবরই সুযোগ পেলে সিনেপ্লেক্সের দাবি তোলেন। তিনি ‘৩০০ আসনে ৩০০ সিনেপ্লেক্স’ বিষয়ে বলেন, ‘সারাদেশেই সিনেপ্লেক্স জরুরি। অন্ধকার, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ কেউ ছবি দেখতে চায় না। মানুষ এখন আরাম চায়, প্রশান্তি চায়, বিনোদন চায়। দর্শক সিনেমা দেখেন না এটা ভুল কথা। আমরা তাদের হলে আনতে পারছি না। দেশে এমনিতেই হল নেই। যে কয়টি আছে সেগুলোর পরিবেশ ভালো না। সরকার যদি ৩০০ এমপির তত্ত্বাবধানে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের ব্যবস্থা করেন সেটা দারুণ একটি সাফল্য হবে সিনেমার জন্য। সিনেপ্লেক্স বাড়লে দর্শক বাড়বে, প্রযোজকরা আসবেন। ভালো বাজেটে ভালো সিনেমা হবে। ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা হবে।’
এভাবে অনেকেই মনে করেন সারাদেশের প্রত্যেকটি আসনে যদি একটি করে সিনেপ্লেক্স গড়ে ওঠে তাহলে খুব সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে ইন্ডাস্ট্রি। বিষয়টি নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নির্মাতা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এমনটা হতে পারে। সিনেমা হলের সঙ্কট আমাদের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। এর উত্তরণ সরকার না চাইলে হবে না।’
অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘এটা বেশ চমৎকার একটি আইডিয়া। প্রত্যেক এমপি তার নিজ এলাকায় একটি সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নিলে খুব সহজেই দেশজুড়ে ৩০০টি সিনেমা হল নির্মিত হবে। সারাদেশের মানুষই তখন সিনেমার বিনোদন পাবার সুযোগ পাবেন। তবে আমি শুনেছি সরকার দেশজুড়ে বেশ কিছু সিনেপ্লেক্স তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। দেখা যাক সেগুলো কবে বাস্তবায়িত হয়। তবে আমাদের সিনেমার এই দুরবস্থা সত্যি বেদনা জাগায়।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘আমিই প্রথম এ দাবি নিয়ে অনেক দিন ধরে কথা বলেছি। এখনো এই দাবিতে কথা বলছি। আমার অনেক প্রযোজক বন্ধুরাও এর সঙ্গে একমত। সরকার চাইলে খুব সহজেই আমাদের সিনেমার মানুষদের এই স্বপ্নটির বাস্তবায়ন করতে পারে। সব উপজেলায়ই সরকারের খাসজমি থাকে। সেখানে সরকারি উদ্যোগে সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠতে পারে। এফডিসির অবকাঠামোগত উন্নয়ন আছে। কিন্তু যদি দর্শক না থাকে, সিনেমায় প্রযোজক না আসে তবে এফডিসি দিয়ে কী হবে? আমি মনে করি সিনেপ্লেক্স নিয়ে আগে ভাবা জরুরি। সিনেপ্লেক্সের প্রতি দর্শকের একটা বাড়তি আগ্রহ কাজ করে। দর্শক একটু ব্যয়বহুল হলেও সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে চান। ঢাকার চারটি সিনেপ্লেক্স কিন্তু সেই প্রমাণ দেয়। এই চারটি সিনেপ্লেক্সই ‘আয়নাবাজি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’র মতো ছবিকে ব্যবসায়িক সাফল্য দিতে পেরেছে। যদি ৩০০টি সিনেপ্লেক্স হতো তবে ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। আমার মনে হয় চলচ্চিত্রের মানুষদের উচিত এই ভাবনাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা। তিনি চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের পাশে থাকবেন।’
নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। একজন সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। একটা সময় নিয়মিতই সিনেমা উপভোগ করতেন। মন খারাপ করলেন এত সম্ভাবনাময় এই শিল্পটির বর্তমান করুণ অবস্থায়। তিনিও মনে করেন, দেশজুড়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সিনেমা হল নির্মিত হলে আবারও ঢাকাই সিনেমা পুনর্জীবন পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আইডিয়াটি বেশ চমৎকার। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে এজন্য ভাবতে পারি, অবদান রাখতে পারি। আসলে বিনোদনের মাধ্যম কমে গেছে বলেই দেশে এত অপরাধ, এত খারাপ খবরের জন্ম হয়। সত্যি, এখনকার প্রজন্মের কাছে বিনোদনের ব্যবস্থা খুবই কম। সিনেমাকে আবারও জাগ্রত করা উচিত। সরকারি উদ্যোগে ৩০০ আসনে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করার বিষয়টি তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভেবে দেখা উচিত। তবে এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সামনে নির্বাচন। তবুও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তিনি ইতিবাচক সাড়া দিতেও পারেন। আসলে কোনো ভালো কাজই আটকে থাকে না। উদ্যোগটা কেবল দরকার। ভাবনাটি আমার ভালো লেগেছে। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার চেষ্টা করবো।’
এফিডিসির এমডি আমির হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। যদি চলচ্চিত্রের মানুষেরা মনে করেন এই উদ্যোগটি সিনেমার সুদিন ফেরাবে এবং এটি প্রয়োজন; তবে সেটি লিখিত আকারে দাবি হিসেবে আসতে পারে। সেটি নিয়ে আলোচনা করে দেখা যেতে পারে। তবে শেখ হাসিনার সরকার চলচ্চিত্রবান্ধব। চলচ্চিত্রের নানা উন্নয়নেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই কারওয়ানবাজারে প্রতিষ্ঠিত হয় এফডিসি। যাত্রা শুরু হয় ঢাকার নিজস্ব পরিচয়ের সিনেমা ও সিনেমার শিল্পীদের।
বাবা বঙ্গবন্ধুর প্রেম ছিল চলচ্চিত্রের প্রতি, সেই প্রেমকে সম্মান করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন, চলচ্চিত্রের মানুষদের ভালোবাসেন। ২০১০ সালে তার সরকার চলচ্চিত্রকে শিল্প খাত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে, রাষ্ট্রীয় এক সফরে চলচ্চিত্রের দুই নায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌসকে সফরসঙ্গী করে, এফডিসির অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প পাস করে সেই প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। দিয়েছেন আরও বহুবার। তাই সিনেমার সুদিন ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছে ঢাকার চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের মানুষেরা।
এলএ/জেআইএম