অর্থনীতি

সিঙ্গাপুর নয় শ্রীলঙ্কার পোর্টে লাভ বেশি

তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার ও যৌথ ব্যবসার প্রস্তাব দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। দেশটির বন্দর ব্যবহার করা হলে অন্তত সময় বাঁচবে ১০ দিন। ফলে বাড়বে রফতানি আয়। এক্ষেত্রে একটি কমিটিও গঠন করা হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ প্রস্তাব দেন শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন কৌশল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী মালিক সামারাবিক্রমা।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রথমত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, পোশাক পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে কিছু পণ্য শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হলে লিড টাইম (পণ্য পরিবহনের সময়) কম লাগবে, খরচ কমবে। তা করতে আমরা একটা কমিটি করবো। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দুই দেশের ব্যবসায়ীরা থাকবেন। তারা ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ যার যার স্বার্থ বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।

সিদ্দিকুর বলেন, শ্রীলঙ্কার অনেকগুলো সমুদ্র পোর্ট আছে, আমরা যদি তাদের পোর্ট ব্যবহার করি, তাহলে লিড টাইম কমে আসবে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের পোর্ট ব্যবহার করায় ২৬ থেকে ২৭ দিন সময় লাগে। যদি আমরা শ্রীলঙ্কার পোর্ট ব্যবহার করি ১৭ থেকে ১৮ দিন সময় লাগবে। অন্তত ১০ দিনের মতো সময় কবে যাবে।

Advertisement

শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন কৌশল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী মালিক সামারাবিক্রমা বলেন, পোশাক খাতে দুই দেশের বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ও অন্যান্য দেশে পোশাক রফতানি বাড়াতে দুই দেশই কাজ করতে আগ্রহী। শুধু গার্মেন্ট নয়, অন্যান্য খাতেও। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। সার্কের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতেও কাজ চলছে। শ্রীলঙ্কার পোর্ট ব্যবহার করলে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের সময় বাঁচবে। আমরা মনে করি এতে দুই দেশের ব্যবসা আরো বাড়বে। অনুষ্ঠানে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এমআরএম/পিআর