পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব থেকে ভালো কোম্পানিগুলোকে রাখা হয় ‘এ’ গ্রুপে। এ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার দাম তিন কার্যদিবসে ৩ টাকা বেড়ে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা হওয়াকে অস্বাভাবিক বলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে বৃহস্পতিবার তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ৯ অক্টোবর নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৪ অক্টোবর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা, যা টানা বেড়ে ৯ অক্টোবর দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা।
এ দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয় এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য ডিএসই থেকে সতর্ক বার্তা প্রকাশের আগেই বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমে ১৩ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে। আর ডিএসইতে থেকে সতর্ক বার্তা প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯০ পয়সা বেড়েছে।
Advertisement
সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার দাম ১৪ টাকা ৭০ পয়সা হওয়ার পর ডিএসই থেকে তা অস্বাভাবিক বলা হলেও তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শেষ দুই বছরের মধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের আগে কখনও কোম্পানিটির শেয়ার দাম ১৪ টাকার নিচে নামেনি।
অবশ্য ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিটি কখনও শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেয়নি। তবে প্রতিবছরই ১০ শতাংশ বা তার বেশি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ১৫ শতাংশ এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয়া হয়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ শেয়ার।
এমএএস/এনডিএস/পিআর
Advertisement