জাতীয়

প্রশ্ন ফাঁস : পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

Advertisement

রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করা হয় বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এ প্রশ্ন ফাঁসকারী প্রতারণা চক্রের মাস্টার মাইন্ড কাউসার গাজীকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানাই, বর্তমানে তারা প্রশ্ন ফাঁস করতে না পেরে নিজেদের মতো প্রশ্ন তৈরি করে। এরপর বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি- এমন প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল।’

নজরুল ইসলাম জানান, মাস্টার মাইন্ড কাউসার গাজীকে এ কাজে সহযোগিতা করত তার বন্ধু সোহেল মিয়া। সে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করত।’

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সিআইডিকে আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজ করে আসছে। কিন্তু এবার প্রশাসনের তৎপরতায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি। কিন্তু ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেডিকেলের প্রশ্ন পাওয়ার প্রচারণা চালায়। তারা ফেক প্রশ্নপত্র তৈরি করতে বিভিন্ন সাজেশন বই, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র একত্রে করে একটি ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম গতকাল (১০ অক্টোবর) রাজধানীর কাজলা পার, দনিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্ট্রার খাতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। একই দিন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৯টার দিকে বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আলিফ নগর এলাকা থেকে ৩ জনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করা হয়।

বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হয়েছে সেটি তদন্তধীন আছে। আমরা আশা, করি এ প্রতারক চক্রের আরও কতিপয় সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করতে পারব।’

গ্রেফতাররা হলেন- পিরোজপুর ভাণ্ডারিয়ার কালাম গাজীর ছেলে কাউসার গাজী, চাঁদপুর মতলবের জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া, মাদারীপুর কালকিনির হাসানুর রশীদের ছেলে তারিকুল ইসলাম শোভন,নওগাঁ পত্নীতলার আলমের ছেলে রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য), টাঙ্গাইল কালিহাতীর আনসার আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান ইমন।

Advertisement

এআর/এমএএস/এনডিএস/আরআইপি