ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতে আঘাত হানলেও উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ জেলা বরগুনায় এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বুধবার রাত পর্যন্ত বরগুনা ও এর আশপাশ এলাকায় বৃষ্টিপাত হলেও সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিও থেমে গেছে।
Advertisement
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বরগুনার কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া যায়নি। তবে সকাল থেকে বরগুনা ও এর আশপাশ এলাকায় কখনো কখনো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আবার কখনো সূর্যের দেখা মিলেছে।
দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি (পিপিপি) বরগুনা সদর উপজেলার টিম লিডার মো. জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় তিতলি আঘাত হানলেও বরগুনা এখন পর্যন্ত এর কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। বুধবার বরগুনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার বরগুনার আবহাওয়া অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বরগুনার আকাশ কখনো মেঘলা আবার কখনো রোদ উঁকি দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী যে কোনো জরুরি প্রস্তুতি মোকাবেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সাড়ে সাত হাজার কর্মী বরগুনার বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। এখন পর্যন্ত বরগুনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
Advertisement
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক করীব মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় তিতলির পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে বুধবার বরগুনা জেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা সম্পন্ন করেছে। এছাড়া বরগুনার সবগুলো আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে বিপুল পরিমাণ শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি। বরগুনায় এখন পর্যন্ত তিতলির কোনো প্রভাব পড়েনি। তারপরও জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/আরএ/আরআইপি