২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১০ অক্টোবর) সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
Advertisement
গ্রেনেড নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অপরাদের সহায়তা করা ও নিহতদের হত্যা অভিযোগে ১৯৮০ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যের ৬ ধারা দোষী সাব্যস্ত করে বাবরসহ ১৯ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি হলেন
Advertisement
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা মো. তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, উজ্জ্বল ওরফে রতন ও হানিফ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ ১৯ আসামিকে আবার ১৯৮০ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৪ ও ৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছর কারাদণ্ড ও আরও জরিমানা ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি হলেন
তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবুবকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু (পলাতক)।
Advertisement
দণ্ডপ্রাপ্ত এ ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন ছাড়াও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩ ও ৪ ধারায় সাব্যস্ত করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
জেএ/আরএস/আরআইপি