১৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
বহুল আলোচিত এই মামলার রায় প্রকাশের পর এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। আল জাজিরা, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে এ রায়ের খবর প্রকাশ করেছে।
এই মামলার রায় নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের হামলার মামলায় ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের বিস্ফোরণ মামলায় বিরোধী দলের প্রধানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত : আইনজীবী।
Advertisement
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে থাকায় তার অবর্তমানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক জিয়া।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের হামলার ঘটনায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ। একই ধরনের শিরোনাম করেছে ফ্রান্স২৪।
ওয়াশিংটন পোস্ট শিরোনাম করেছে : ২০০৪ সালে ক্ষমতাসীন নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনাল। একই ধরনের শিরোনাম করেছে এপি।
সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
Advertisement
বুধবার সকালে কারাগার থেকে ৩১ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আরও ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
টিটিএন/পিআর