দেশের অন্য তিন ভেন্যুতে যখন আধিপত্য বিস্তার করছেন ব্যাটসম্যানরা, তখন খুলনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালাচ্ছেন বোলাররাও। ব্যাটসম্যান-বোলারের সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জমে উঠেছে খুলনা-বরিশালের ম্যাচ।
Advertisement
প্রথম দিনে একক আধিপত্য বিস্তার করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা, আটকে গেছিলেন বোলারদের চতুরতায়। দ্বিতীয় দিনে আধিপথ্য বিস্তার করতে পারেননি বোলাররা, তাদের থামতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়।
দেশের ক্রিকেটের বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই জন্মস্থান খুলনায়। সেই খুলনাই এবারের জাতীয় লিগে পারছে না নিজেদের নামের ভারের সাথে তাল মিলিয়ে পারফর্ম করতে। ঘরের মাঠে তৃতীয় দিন শেষ ৪ উইকেট হাতে নিয়ে তারা পিছিয়ে রয়েছে ঠিক ১০০ রানে।
প্রথম দিনের ৮ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে বরিশাল। নুরুজ্জামান একাই লড়াই করে দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে তিনশ'র কাছাকাছি। তবে থেমে যেতে হয় ২৯৯ রানে। ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৭৪ রান করেন নুরুজ্জামান। খুলনার পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক ও আল-আমিন হোসেন।
Advertisement
তারকাসমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলতে নামা খুলনা ব্যাট করতে নেমে পড়ে বিপর্যয়ে। ইমরুল কায়েস ৬, এনামুল বিজয় ৬, সৌম্য সরকার ৩৩, তুষার ইমরান ৩১, ও নুরুল হাসান ৫ রান করে আউট হলে মাত্র ৮৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে হাল ধরেন এশিয়া কাপে জোড়া হাফসেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ মিঠুন ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। দুজন মিলে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। দিন শেষের মাত্র ১৭ বল বাকি থাকতে সাজঘরে ফিরে যান মিঠুন। ১২৪ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৭২ রান করেন তিনি।
দিনের শেষ ভাগে মিঠুন ফিরলেও অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন জিয়া। ধৈর্য্যশীল ইনিংসে ১২২ বলে ৪৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন তিনি। নয় বলে শূন্য রানে অপরাজিত অফস্পিনিং অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬ উইকেটে ১৯৯ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে খুলনা। বরিশালের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সোহাগ গাজী।
এসএএস/আরআইপি
Advertisement