জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’তে রূপ নিয়েছে গভীর নিম্নচাপ

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসহ হয়ে ঘূর্ণিঝড় তিতলি-তে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিন-৭ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বেসরকারি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ে ‘তিতলি’ আগামী শুক্রবার সকাল নাগাদ ভারতের উড়িস্যা উপকূল ঘেসে দিঘা ও ২৪ পরগনা উপকূল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা ও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

Advertisement

বেসরকারি আবহাওয়া অফিস নড়াইলের আবহাওয়াবিদ পারভেজ আহমেদ জাগোনি উজকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি কিছুটা উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তিশালি হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’তে পরিণত হয়েছে।’

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী দুই থেকে তিন দিন চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে মঙ্গলবার ভোর থেকে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সারাদিন এমন বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী কর্মজীবী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালকসহ শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা।

জেডএ/এমএস

Advertisement