অর্থনীতি

খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এরমধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত খাতে। সব মিলে সার্বিকভাবে কমেছে মূল্যস্ফীতির হার।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিবিএসের মতে, সেপ্টেম্বরে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুধ ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম কমেছে। অপরদিকে, খাদ্য বহির্ভূত পণ্য-পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

Advertisement

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভশীলতা কম। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্যের দাম কম ছিল। ফলে মূল্যস্ফীতি কমছে।

এদিকে, গ্রামাঞ্চলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমলেও বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট হারে কমে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগের মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

Advertisement

এমএ/এএইচ/এমএস