ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ ছিলো দুজনেরই। উইকেটে থাকা অবস্থায় ছিলেন সাবলীল, ছড়িয়েছেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তবু পারেননি প্রথম বারের মতো ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে দ্বিশতক করতে। তবে দুজনের 'ড্যাডি সেঞ্চুরি'তে রানপাহাড়ে চড়েছে রাজশাহী বিভাগ।
Advertisement
বরাবরের মতোই এবারও জাতীয় ক্রিকেট লিগের ফেবারিট দল রাজশাহী। তাদের এগিয়ে নিয়ে চলেছেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম রাউন্ডে খুলনার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মিজান, ভালো শুরুর পরেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় রাউন্ডে সেই আক্ষেপই মেটালেন শান্ত, সাথে পেলেন ধারাবাহিক মিজানকে। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই করলেন প্রতিপক্ষ রংপুরের প্রথম ইনিংসের দ্বিগুণের বেশি রান। দিন শেষে দুজনই ফিরেছেন দেড় শতাধিক রানের ইনিংস খেলে। আর এ দুজনের সেঞ্চুরিতে রংপুরকে বিশাল লিডের নিচে চাপা দিচ্ছে রাজশাহী।
রংপুর বিভাগের প্রথম ইনিংসে করা ১৫১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪১৯। ইতো মধ্যে লিড দাঁড়িয়েছে ২৬৮ রানের, হাতে রয়েছে ৮টি উইকেট। দিন শেষে জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৯ এবং ফরহাদ হোসেন অপরাজিত রয়েছেন ২৬ রানে।
Advertisement
ঘরোয়া ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করাটাকে একপ্রকার অভ্যাসেই পরিণত করে ফেলেছেন রাজশাহী ডানহাতি ওপেনার মিজানুর রহমান। ডিপিএল, এনসিএল বা বিসিএল - সবখানেই ছোটাচ্ছেন রানের ফোয়ারা। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন চলতি এনসিএলেও।
চলতি জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে খুলনার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১৫ রানের ইনিংস। যার ফলে তার ব্যাটিং দেখতে পরের রাউন্ডে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রধান নির্বাচককে হতাশ করেননি ২৭ বছর বয়সী মিজান।
প্রথম রাউন্ডে করা ১১৫ রানের ইনিংসকে পার করে খেলেছেন দেড়শ রানের ইনিংস। সম্ভাবনা ছিলো ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার। তবে রংপুর বিভাগের পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হকের বোলিংয়ে উইকেটের পেছেন লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৬৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মিজান।
উদ্বোধনী জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়েছেন ৩১১ রানের জুটি। এখানেও সুযোগ ছিলো প্রথম রাউন্ডে রনি তালুকদার-আব্দুল মজিদের গড়া ৩৫০ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড ভেঙে দেয়ার। সেটি হয়নি মিজান সাজঘরে ফেরায়।
Advertisement
তবে প্রায় ৬ ঘণ্টার ইনিংসে মাত্র ২১৬ বলে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলে মাঠে উপস্থিত প্রধান নির্বাচককে সন্তুষ্ট করেছেন নিশ্চিত। প্রধান নির্বাচকের সামনে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল শান্তও।
প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার ইনিংসে ৩১৩ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ১৭৩ রান করেন তিনি। হাঁকান মিজানের চেয়ে একটি বেশি ২৩টি বাউন্ডারি। ডাবল সেঞ্চুরি যখন দৃষ্টি সীমানায় তখন দলীয় ৩৬৪ রানের মাথায় পার্টটাইমার মাহমুদুল হাসানের বলে সন্দ্বীপ সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত।
এসএএস/এমএস