খেলাধুলা

বিশ্রামে না থেকে মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন তামিম-মুশফিক

দেশের চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে চলছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। এশিয়া কাপ শেষে প্রথম রাউন্ডের বিশ্রামের পর নিজ নিজ দলের হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমে গিয়েছেন লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু হায়দার রনিরা।

Advertisement

জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে নিজেদের চাঙা করতে বিশ্রামে রয়েছেন বাকি তারকা ক্রিকেটাররা। তবে বিশ্রামে থেকেও পুরোপুরি বিশ্রামে নেই দুজন ক্রিকেটার। তারা হলেন দলের সবচেয়ে বেশি ফিটনেস সচেতন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

নিয়মিত অনুশীলনের ব্যাপারে কখনওই আপোষ করেন না উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বিশ্বাস করেন 'প্র্যাকটিস ম্যাকস আ ম্যান পারফেক্ট' অর্থাৎ অনুশীলনেই শক্ত হবে নিজের ভিত্তি। যেই কথা সেই কাজ। দলের অন্যরা যখন ক্লান্তিকর এশিয়া কাপ মিশন শেষে নিজেদের সতেজ করতে সময় কাটাচ্ছে বিশ্রামে, তখন শেরে বাংলায় একাই নিজের ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিচ্ছেন মুশফিক।

পুরো এশিয়া কাপটাই পাঁজরের ব্যথা নিয়ে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের ক্রিকেট মহলে শোনা যাচ্ছিল হয়তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে 'কম গুরুত্বপূর্ণ' সিরিজে পরিপূর্ণ বিশ্রামেই রাখা হবে দেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু কিসের কি!

Advertisement

মুশফিক কি আর বিশ্রাম নেয়ার পাত্র? নিজের কিট ব্যাগে ব্যাট-প্যাড কাঁধে নিয়ে সময়মতো হাজির শেরে বাংলায়। খানিক ওয়ার্ম আপ করে প্যাড আপ করে নিলেন ব্যাটিং করার জন্য। নেটে গিয়ে শুরু করলেন নিজের প্রিয় শটগুলো আরও নিখুঁত করে নেয়ার অনুশীলন। কখনো অন ড্রাইভ তো, কখনো প্রিয় স্লগ সুইপ আবার কখনো লফটেড ড্রাইভ খেলতেও পিছপা হননি ৩১ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে। এর প্রায় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করছেন মুশফিক। কারণ তার মতো দেশের সবাই-ই জানেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেখানে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের কেউ থাকবেন না, সেখানে ব্যাটিংয়ের গুরু দায়িত্বটা থাকবে উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যানের কাঁধেই।

অন্য দিকে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে পাওয়া ব্যথার কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তামিমের না থাকা নিশ্চিত। ফিরলেও ফিরতে পারেন প্রথম টেস্টের পরে। তবুও নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে চেষ্টার কমতি নেই দেশসেরা এ ব্যাটসম্যানের। তপ্ত রোদে যেখানে ব্যান্ডেজে মোড়ানো হাতে বিশ্রামে থাকতে পারতেন, সেখানে ঘাম ঝরাচ্ছেন শেরে বাংলার জিম ও সবুজ মাঠে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফিটনেস বিষয়ে তামিম ইকবালের সচেতনতা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রত্যেকের জন্যই একটি দৃষ্টান্ত হয়ে গিয়েছে এখন। চট্টগ্রামের খানদানী পরিবারে বেড়ে ওঠা তামিম এখন নিজের খাদ্যাভাসে আমূল পরিবর্তন এনেছেন কেবলমাত্র ক্রিকেট মাঠে নিজের ফিটনেস আগের চেয়ে বেশি রাখার জন্য। এমনকি গত দুই ঈদে একটিতেও ছুটি কাটাননি। সময় দিয়েছেন অনুশীলনে।

Advertisement

জাতীয় দলের সিনিয়র এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ক্রিকেটারের এমন বাড়তি সচেতনতা এবং ফিটনেস ধরে রাখার যে চেষ্টা সেটি নিশ্চিতভাবেই উদ্বুদ্ধ করবে দলের বাকি খেলোয়াড়দের। আর বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে, ভালো খেলতে হলে ক্রিকেটীয় স্কিলের পাশাপাশি যথাযথ ফিটনেসের কোনো বিকল্প নেই।

এসএএস/এমএস