দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে ১১ বছর আগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মায়ার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া ১৩ বছরের সাজার রায়ও বাতিল করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার হাইকোর্টে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায়ের আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দীন মানিক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, দুদকের করা মামলায় ১৩ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে মায়ার করা আপিলের ওপর পুনঃশুনানি নিয়ে আজ রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন।
Advertisement
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে মায়ার করা আপিলের ওপর পুনঃশুনানি নিয়ে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট ৭ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য রাখেন। সেদিন মায়ার পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করেন। এরপর দুদকের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন শুরু হয় এবং আজ তা শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর এ কে এম আমিন উদ্দীন মানিক বলেন, হাইকোর্ট ওই মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে দেয়া ১৩ বছরের সাজার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। মায়ার আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেয়া হয়।
২০০৭ সালের ১৩ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জরিমানাও করেন। আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেন হাইকোর্ট।
Advertisement
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক, যার শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ।
একই সঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। পরে রিভিউও খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগের আদেশ অনুসারে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়।
গত ১৪ আগস্ট পুনঃশুনানি শেষ করেন আদালত। ওই দিন আদালত রায়ের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে, গতকাল (০৭ অক্টোবর) আসামিপক্ষ আবার শুনানি করেন।
এফএইচ/এনএফ/এমএআর/জেআইএম