বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দুটি সেমিফাইনাল কক্সবাজার নাকি নীলফামারীতে হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিল বাফুফে। যাতায়াত আর আবাসন ব্যবস্থার সুবিধায় এগিয়ে থেকে নীলফামারীকে হারিয়ে কক্সবাজার পায় টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। দিন পনের আগে বাফুফের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই মাঠ পরিচর্যা শুরু কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের। রবিবার স্টেডিয়ামে পা দিয়ে অনেকেরই চোখ ছানাবড়া। ১৫ দিনের পরিচর্যায় সবুজ হয়ে উঠেছে পর্যক শহরের ফুটবলের প্রধান মাঠটি!
Advertisement
কক্সবাজার স্টেডিয়াম নামে এ ভেন্যুটি তৈরি ১৯৫৬ সালে। স্টেডিয়ামের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়ামের নাম বদলে রেখেছে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম। ৮ বছর আগে এ স্টেডিয়ামে হয়েছিল সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ওই টুর্নামেন্ট ঘিরে ফুটবল উম্মাদনা তৈরি হয়েছিল কক্সবাজারে। এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দুটি সেমিফাইনাল পেয়ে এ শহরের খেলোয়াড় ও সংগঠকরা বেজায় খুশি। তাদের প্রত্যাশা গ্যালারিতে দর্শকের জায়গা হবে না।
মেয়েদের খেলা দেখতেই ২০১০ সালে উপচেপড়া দর্শক ছিল কক্সবাজার স্টেডিয়ামে। ১২ থেকে ১৪ হাজার দর্শকধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি ছিল কানায় কানায় ভর্তি। কয়েক হাজার মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছিল টিকিট না পেয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেলো একটা উৎসব উৎসব ভাব। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া। স্টেডিয়ামের সামনেই সামিয়ানা টাঙিয়ে টিকিট বিক্রি চলছে। সাধারণ গ্যালারির টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা, ভিআইপি ২০০ টাকা।
৬ জাতির এ টুর্নামেন্টের শেষ চারে আছে বাংলাদেশও। ১০ অক্টোবর লাল-সবুজ জার্সিধারীরা দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে। আগের দিন প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে তাজিকিস্তান ও ফিলিপাইন। ফ্লাডলাইট না থাকায় সেমিফাইনাল শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
Advertisement
শহরের ডলফিন চত্বর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বেশ কয়েকটি তোরণ চোখে পড়লো। বিদেশি দলগুলোকে এবং দর্শকদের স্বাগত জানানো হয়েছে এ তোরণের মাধ্যমে। স্টেডিয়ামের ভেতরটা পরিপাটি। কয়েক জায়গায় সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। তিনদিন পর এখানে যে ফুটবল উৎসব শুরু হবে তার একটা আমেজ ঠিকই ছড়িয়ে পড়েছে ভেন্যু ও তার আশপাশে। উৎসুক মানুষ উঁকি মেরে স্টেডিয়ামের ভেতরটা দেখার চেষ্টা করছেন। অনেকে টিকিটের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
মাঠ পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা বাফুফের মাঠকর্মী মো. চান মিয়ার মুখে হাসি, ‘দেখেছেন স্যার, ১৫ দিন আগে মাঠের বেশিরভাগ অংশ ছিলো ঘাসবিহীন। এখন পুরোটাই সবুজ। সিলেট স্টেডিয়ামের চেয়ে এ মাঠ অনেক ভালো। সিলেটে একটু বৃষ্টি হলেও সমস্যা দেখা দিতো। মাটি বেশি নরম হয়ে যেতো। এটা পাহাড়ি এলাকার মাঠ তো, বৃষ্টি হলেও সহজে নরম হয় না।’
আরআই/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement