বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে কানাডা। এ জন্য দুই দেশের বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
রোববার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার মি. বেনোই প্রেফনটেইনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়। সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কানাডা বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ প্রেক্ষিতে কানাডা দুদেশের বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং নিয়মিত আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
বৈঠককালে এফবিসিসিআই সভাপতি কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় হাইকমিশনারকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনৈতিক কার্যক্রমে দেশের বেসরকারি খাতের ভূমিকা তুলে ধরেন। দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Advertisement
বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে দেশের সম্ভাবনাময় চামড়া, ঔষুধ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন খাতে বিনিয়োগে কানাডার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি এবং অনেক সম্ভাবনাময় খাতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কানাডা হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন ট্রেড কমিশনার মিস করিন পেট্রিসর এবং হাই কমিশনের ট্রেড কমিশনার মো. কামাল উদ্দিনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১১১ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য কানাডায় রফতানি করে এবং কানাডা থেকে ৪৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। কানাডায় বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে- ওভেন, গার্মেন্টস, নীটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল এবং ফুটওয়্যার। আর কানাডা থেকে মূলত ভেজিটেবল পণ্য, মেশিনারি এবং মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং বস্ত্র ও বস্ত্রসামগ্রী আমদানি করা হয়।
Advertisement
এসআই/এএইচ/জেআইএম