আইন-আদালত

সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ হত্যায় সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল

সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

Advertisement

আসামির করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের পর সাইফুল ইসলামের আইনজীবী কাজী আখতার হামিদ বলেন, আসামির পক্ষে আইনি লড়াইয়ের সকল ধাপ শেষ হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে সাইফুলের।

আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের করা রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি গত ৪ অক্টোবর শেষ হয়। পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ আদেশের দিন ধার্য ছিল।

Advertisement

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড এবং আল আমিন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মামুন রিভিউ আবেদন করেন।

খালাফকে হত্যার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর আসামি সাইফুল ইসলাম মামুন, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন, আকবর আলী লালু ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচার শেষে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।

এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন ও আকবর আলী লালুর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেন।

২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

এফএইচ/এনএফ/এমএস