ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে উত্তরা ব্যাংকের সিসি ঋণের ৭৮ লাখ ৭২ হাজার ৫৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের লালদিঘীরপাড় শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালী থানায় দুটি মামলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। মামলার একমাত্র আসামি লুৎফুর রহমান দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লাইয়াই গ্রামের আব্দুল আজিজ চৌধুরীর ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকার ৪/এ নম্বর বাসার বাসিন্দা।লালদিঘীরপাড় শাখার তৎকালীন ব্যাংক ব্যবস্থাপক লুৎফুর রহমান ওই শাখার অ্যাকাউন্ট হোল্ডার সিলেট নগরের মিরাবাজার এলাকার উদ্দীপন ৭৪ নম্বর বাসার মৃত মো. মুজম্মিল আলীর ছেলে নুরুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজশে টাকাগুলো আত্মসাত করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নুরুজ্জামান তদন্তকালীন সময়ে মারা যাওয়ায় তাকে মামলায় আসামি করা হয়নি। তবে ব্যাপক অনুসন্ধানে এ বিষয়ে দুদক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান বাদী।মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উত্তরা ব্যাংক লিমিডেট, লালদিঘীর পাড় শাখা-সিলেটের ব্যবস্থাপক হিসেবে মো. লুৎফুর রহমান প্রথম মেয়াদে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্ভর ১৯৯৪ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ৯ এপ্রিল ১৯৯৬ থেকে ৬ নভেম্বর ২০০২ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।লুৎফুর রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে লালদিঘীর পাড় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাখার অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নগরের ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজশে টিওডির দেয়া ৬২ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা ও এলটিআর নং-০৭/০২ এর অনুকূলে দেয়া সিসি ঋণের ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাত করেন। দুদক সিলেটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন তথ্য বের হয়ে আসে।দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৭৪ সালের ৫(২) ধারার ৪০৯/৪২০/১০৯ দণ্ডবিধিতে লুৎফুর রহমান টিওডির ৬২ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা ও এলটিআর নং-০৭/০২ এর অনুকূলে দেয়া সিসি ঋণের ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাত করায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।তাই দুদক সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে টিওডির ৬২ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩ নম্বর ও এলটিআর নং-০৭/০২ এর অনুকূলে দেয়া সিসি ঋণের ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগে একই আইনে ১৪ নম্বর মামলা দায়ের করেন।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় দুদকের দুটি দুর্নীতি মামলা রুজুর কথা নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমদ।এ ব্যাপারে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যাালয় সিলেটের উপ-পরিচালক রাম মোহন নাথ জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় দুদক দুটি পৃথক মামলা করেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হবে।ছামির মাহমুদ/বিএ
Advertisement