মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধরা স্পেশাল পাস নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশটির অভিবাসন বিভাগ অবৈধদের এ সুযোগ দিয়েছে। এর আগে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কর্মসূচি থ্রি প্লাস ওয়ান এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩০ আগস্ট।
Advertisement
তবে এই বিশেষ কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হলেও স্পেশাল পাস নিয়ে অবৈধরা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবেন বলে অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
থ্রি-প্লাস ওয়ান প্রকল্প শেষ হওয়ার পর থেকেই এই প্রক্রিয়ায় অবৈধরা নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আগস্টে শেষ হওয়া থ্রি-প্লাস ওয়ান প্রকল্পে অভিবাসন দফতরে মোট ৪'শ রিঙ্গিত (৮ হাজার টাকা) পরিশোধ করে ফেরত যাওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন স্পেশাল পাস নিতে কয়েকটি ক্যাটাগরি অনুযায়ী জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
কোন ক্যাটাগরিতে কত অর্থদণ্ড দিতে হবে- যদি কেউ ১ মাসের কম সময় অবৈধভাবে অবস্থান করে থাকে তাহলে দৈনিক ৩০ রিঙ্গিত হারে জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস নিতে হবে। ১ মাসের বেশি কিন্তু ৬ মাসের কম সময় অবৈধভাবে অবস্থান করে থাকে তাহলে ১০০০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস নিতে হবে। ৬ মাসের বেশি থেকে ৩ বছরের কম সময় অবৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন তাহলে ২০০০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস নিতে হবে। ৩ বছরের বেশি সময় অবৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন তাহলে ৩০০০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস নিতে হবে।
Advertisement
যাদের অভিবাসন দফতরে প্রবেশের কোন রেকর্ড নেই (নদীপথে) তাদের ২৯০০ শত রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হবে। অসুস্থদের ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে গেলে দ্রুত স্পেশাল পাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রি-হিয়ারিং প্রকল্পে নিবন্ধিত এবং লেবি জমা হয়েছে ভিসা বের হয়নি কিন্তু জরুরি বাড়ি যেতে হবে তাদের অবশ্যই নিজ কোম্পানির বসকে নিয়েই ইমিগ্রেশনে যেতে হবে তাহলে অল্প টাকায় স্পেশাল পাস মিলবে।
কোন দালাল বা কারো সহায়তা না নিয়ে সরাসরি অভিবাসন দফতরে যেতে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিজ মালিককে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে ৭ দিন এর মেয়াদের ফ্লাইট টিকিট নিতে হবে। স্পেশাল পাস নিতে ইচ্ছুক যে সকল বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নেই তাদের প্রথমে কুয়ালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।
এদিকে মালয়েশিয়া অভিবাসন দফতর থেকে দেয়া তথ্য মতে, ৩০ আগস্ট শেষ হয়ে যাওয়া থ্রি-প্লাস ওয়ান প্রকল্পে এ বছরে ১ লাখ ৪৮,৭৭৪ অভিবাসী নিজ দেশে ফেরত গেছেন।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম