মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক কোটি ২৪ লাখ টাকার চেক এবং ছয় প্রশ্ন গ্রহীতাকে আটক করা হয়েছে।
Advertisement
আটককৃতরা হলেন- প্রশ্ন সরবরাহকারী মহিদুল কবির লিমন (২৬), সারওয়ার হোসেন বিপ্লব (২৯), সাদ্দাম হোসেন (২৫), মাসুদ (৩০), উজ্জল রবি দাস (২৩)। প্রশ্ন গ্রহীতা রিফাত সরকার (১৯), ফয়সাল আহমেদ (১৮), মোস্তাকিন ফুয়াদ (১৯), আবু সাঈদ (১৮), ইশা আলম (২১) ও তারেক হাসান (১৯)।
শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, এসব ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন কোচিং সেন্টার জড়িত। বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা এলেই তারা প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভনের ঝাঁপি খুলে বসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করেন। অভিভাবকরা সেই ফাঁদে পা দিলেই কথিত প্রশ্নফাঁসের চক্রটি হাতিয়ে নেয় লাখ-লাখ টাকা।
Advertisement
তিনি বলেন, আটককৃত প্রশ্ন সরবরাহকারী পাঁচজনই বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। রাজধানীর ফার্মগেট, পান্থপথ, কল্যাণপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সেসব কোচিং সেন্টারের শাখা রয়েছে। তারা বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্ন প্রণয়ন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রশ্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে অগ্রীম চেক, একাডেমিক কাগজপত্র নিজেদের জিম্মায় নেয়।
চক্রটি অগ্রিম চেক ও একাডেমিক কাগজপত্র নিজেদের জিম্মায় নিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করতো বলেও জানান র্যাব-১০ সিও।
আটকের সময় প্রশ্ন সরবরাহকারী পাঁচজনের কাছ থেকে এক কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ১২টি চেক, মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ৯১টি প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ১৫টি ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রসংশাপত্র, পাঁচ সেট ভুয়া প্রশ্ন, ১৬টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
এআর/এএইচ/আরআইপি
Advertisement