তাবলিগ জামাতের দাওয়াতি কাজ ও মেহনতকে সঠিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আলেম-ওলামাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হলো ওয়াজাহাতি জোড়। এ জোড়ে অংশগ্রহণ করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা।
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শালগাঁও কালিসীমা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ওয়াজাহাতি জোড় অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বিসহ দেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার হাজারো আলেম-জনতার সরব উপস্থিতিতে শালগাঁও কালিসীমা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন কাকরাইল মারকাজের প্রবীণ মুরুব্বি জুবাইরুল হক সাহেবসহ অন্য মুরুব্বি।
শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল শায়েখ সাজিদুর রহমান, জামিয়া ইউনুসিয়ার স্বনামধন্য প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারকুল্লাহ সাহেব প্রমুখ।
Advertisement
আরও পড়ুন > তাবলিগের কাজ সম্পর্কে আলেমদের বক্তব্য ও ৯ ঘোষণা
তাবলিগের অবস্থান স্পষ্ট করতে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ান পেশ করেন মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী, মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আযহারী প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়র এ ওয়াজাহাতি জোড়ের বয়ানে আলেম ওলামারা বলেন, ‘তাবলিগ যে মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে চালু হয়েছিল সে মতাদর্শের উপরেই চলবে। মাওলানা সাদের নীতি ও দিক-নির্দেশনায় তাবলিগ চলবে না। মাওলানা সাদের কারণে তাবলিগের মূলনীতিতে কোনো পরিবর্তনও আসতে পারে না।
জোড়ে আলেম-ওলামাদের পরামর্শের পর ঘোষণা করা হয় যে, ‘স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ তাবলিগের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে যে দ্বীনের অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবমাননা করেছেন, প্রবীণ মুরব্বি ও আলেমদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন এবং ভ্রান্তমত পোষণ করেছেন। যতদিন পর্যন্ত তিনি এসব বিষয় থেকে রুজু না হবেন ততদিন তার অনুসরণ করা নাজায়েজ।
Advertisement
উল্লেখ্য যে, তাবলিগের দাওয়াতি কাজ সম্পর্কে আম-জনতার করণীয় সম্পর্কে আলমে-ওলামাদের অবস্থান স্পষ্ট ও দিক-নির্দেশনা প্রদানে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ওয়াজাহাতি জোড়। গত মে মাস থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত ওয়াজাহাতি জোড়ের ওপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হচ্ছে এ জোড়।
তাবলিগের সাধারণ মুসল্লি ও অনুসারীরা এ জোড় থেকে তাদের কাজের দিক-নির্দেশনা লাভ করবে।
এমএমএস/এমএস