আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। একদিনে লাশের পাহাড় বানাবে এবং রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। তাই শেখ হাসিনার সরকার আরেকবার দরকার। এর পর কী হবে, সেটা পরে দেখা যাবে।
Advertisement
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) গণসংযোগ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার মতো ১০ জন নেতা আছেন। কিন্তু মনোনয়ন দেয়া হবে একজনকে। যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ঘরের মধ্যে ঘর বানাবেন না। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। তাহলে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়া এবার নেত্রীর নির্দেশ আছে। কেউ যদি বিদ্রোহী প্রার্থী হন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এবার কিন্তু শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর।
Advertisement
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, চায়ের স্টলে বসে নিজেদের লোকের নানে গীবত করবেন না। এটা করলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হবে। আওয়ামী লীগ যদি আওয়ামী লীগের শত্রু হয় তাহলে বাইরের শত্রু আরও সুযোগ পাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী দিনের পথ কিন্তু পুষ্পশয্যা নয়। পাকিস্তানের দোসররা সহজে আপনাকে ছাড়বে না। তারা অন্ধকারে বসে ছক আঁকছে। তাদের সম্পকে সতর্ক থাকবেন।
খালেজা জিয়া চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা সম্ভব। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এবং শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আবার যদি নির্বাচন ঠেকানোর নামে, আগুন সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমা শুরু হয় তাহলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
Advertisement
ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বত্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এসএ মান্নান কচি, বজলুর রহমান মজনু, সাদেক খান প্রমুখ । সমাবেশ শেষে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এফএইচএস/এনডিএস/এমএস