বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ৪ আক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ৪ হাজার ১৩৫টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় জ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫ হাজার ৬০৪ জনকে এবং ৪ হাজার ৬৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
রিজভী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদী নেতারাই থাকে আগ্রাসী শক্তির টার্গেট। জাতীয়তাবাদের প্রতীক যারা, তাদের ধ্বংস করার জন্য নানামুখী চক্রান্ত চালানো হয়। অপশক্তিকে পরাস্ত করতে না পারলে তাদের চক্রান্তের ফলশ্রুতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ, দেশের মানুষ ও জাতীয়তাবাদী নেতারা।’
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় প্রকৃত অপশক্তিকে পর্দার অন্তরালে ঢেকে রেখে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন অবস্থায় চার্জশিট ফিরিয়ে এনে সম্পূরক চার্জশিট তৈরি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়ানো হয়েছে মনের ঝাল মেটাতে। এ জন্য আইনি প্রক্রিয়াকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কুটিল চক্রান্তের মাধ্যমে তারেক রহমানকে ভিকটিম করা হয়েছে।’
Advertisement
রিজভী বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান কান্ডারি বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি, কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা। অধিকার হারা জনগণ একটি জোরালো আন্দোলনের জন্য অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। এমনিতে সারাদেশে ঝাঁকে ঝাঁকে গায়েবি মামলায় এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। তার ওপর দেশজুড়ে বাসাবাড়িতে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে খোঁজার ধুম। মধ্য যুগের ডাইনি শিকারের মতো পাইকারি হারে গ্রেফতারের শিকার হচ্ছে নেতাকর্মীদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফাঁপা উন্নয়নের জিগির তুলে জনগণের অর্থের লুটপাট, বেপরোয়া গুম-খুন আর রক্তপাতের দমবন্ধ করা পরিস্থিতির সুযোগের সদ্ব্যবহার করতেই ২১ আগস্ট বোমা হামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম পটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/আরএস/এমএস
Advertisement