প্রথম ইনিংসেই সিলেট বিভাগ পিছিয়ে পড়েছিল ২১১ রানের বিশাল স্কোরের। দ্বিতীয় ইনিংসে জাকির হাসান এবং রাজিন সালেহের ইনিংস জানান দিচ্ছিল, ম্যাচটা হয়তো বাঁচাতে পারবে তারা। বাঁচাতে না পারলেও অন্তত ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়টা এড়াতে পারবে তারা। কিন্তু পারলো না তারা। রাজিন সালেহ ৫৩ রান করে তৃতীয় দিন অপরাজিত থাকলেও শেষ দিকে আর মাত্র ৭ রান যোগ করতে পারেন।
Advertisement
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় স্তরে, প্রথম রাউন্ডের শেষ দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে স্থানীয় দল সিলেট বিভাগ আর মাত্র ২১ রান যোগ করতে পারে দলীয় স্কোরে। শেষ পর্যন্ত ইনিংস এবং ৪১ রানের বিশাল ব্যবধানেই পরাজয় বরণ করে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকরা। জাতীয় লিগের শুরুতেই বিশাল জয় নিয়ে ফিরতে পারলো মোহাম্মদ আশরাফুলের দল ঢাকা মেট্রো।
প্রথম ইনিংসেই জয়ের কাজটা সেরে রাখে আশরাফুলের দল ঢাকা মেট্রো। সাদমান ইসলামের ১৫৭ রানের ওপর ভর করে ৪২৬ রান করে তারা। আশরাফুল করেন ৫৩ রান। সিলেটের এনামুল জুনিয়র একাই নেন ৬ উইকেট। শাহানুর রহমান নেন ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ঢাকা মেট্রোর বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ২১৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট। এনামুল হক জুনিয়র ৯১ রান করেও ফলো অন ঠেকাতে পারলেন না। আরাফাত সানি ৪টি, কাজী অনিক ৩টি এবং মোহাম্মদ আশরাফুল ২ উইকেট নিয়ে ধ্বস নামান সিলেটের ইনিংসে।
Advertisement
ফলো অনে পড়ে ব্যাট করতে নেমে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর জাকির হাসান আর রাজিন সালেহ মিলে ১২২ রানের জুটি গড়ে ভালোই জবাব দেন। কিন্তু তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে জাকির হাসান ৭২ রান করে আউট হয়ে গেলে সিলেটের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ দিন রাজিন সালেহ আউট হয়ে গেলে বাকি কাজও শেষ হয়ে যায় ঢাকা মেট্রোর।
ঢাকা মেট্রোর আসিফ হোসেন ৪৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। আরাফাত সানি নেন ৬৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং শহিদুল ইসলাম নেন ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement